আজকের শিরোনাম :

শিবগঞ্জে সড়কের বেহাল দশায় ভোগান্তিতে জনগণ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:৫১

কয়েক লক্ষ মানুষের দুর্ভোগ ও আতঙ্কের নাম মোকামতলা টু সোনাতলা সড়ক। বিকল্প রাস্তা না থাকায় প্রতিনিয়ত সড়ক নামের এ মরণফাঁদ দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে আতঙ্কগ্রস্ত লাখো মানুষ। অচিরেই রাস্তাটির কাজ শুরু হবে এমন আশ্বাসে কেটে গেছে প্রায় ৭ বছর। ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রায় ৭ বছর আগে রাস্তাটি পুননির্মাণের জন্য উদ্বোধন করা হলেও অজ্ঞাত কারনে কাজ শুরু হচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। 

সর্বশেষ গত ২০১৮ সালের মে মাসে রাস্তাটি সংস্কারে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও কাজ শুরু হয়নি আজ অব্দি। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকোশলী ৬ মাস আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন বরাদ্দ পাওয়া গেছে, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। তেমনি গত সোমবার ও বললেন একই কথা " আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু হবে"। কিন্তু ২ সপ্তাহ যেন আর কাটছেনা। আশ্বাসে বন্দী লাখো মানুষ অপেক্ষায় আছে কবে শেষ হবে এমন অসহনীয় দুর্ভোগ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এবরো-থেবড়ো রাস্তাটি খানা-খন্দকে ভরা। তাছাড়া রাস্তার দুপাশের দোকানগুলো দখল করে নিয়েছে রাস্তার অনেকটা অংশ। দখল দুষণে রাস্তাটি যেমন সংকীর্ণ হয়েছে, তেমনি খানা খন্দকে রাস্তাটি পরিণত হয়েছে ছোট-খাটো খালে। রাস্তাটির এমন করুণ অবস্থা সরকারের দৃষ্টিগোচর করতে রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে নিরব প্রতিবাদও করেছে এলাকার সাধারণ মানুষ ।

মোকামতলা ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান জানান, সাঘাটা, সোনাতলা ও শিবগঞ্জ এ তিন উপজেলার কয়েক লাখ লোক প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে সড়কটি দিয়ে। অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হলেও সংস্কারে কর্তৃপক্ষের অবহেলা আমাদের বিস্মিত করেছে। 

স্থানীয়রা জানান, সড়কটিতে প্রতিনিয়ত লেগেই আছে অসহনীয় যানজট। তার ওপর একটু পানি হলেই রাস্তা জেনো পরিণত হয় মরণ ফাঁদে। কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে ২/৩ ফুট গভীর খানা খন্দকে ভরা। তারপরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এই রাস্তায় অতি কষ্টে চলাচল করছে লাখ লাখ মানুষ। তারা আরো জানান, সবচেয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন রোগী ও এ অঞ্চলের অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে আন্তজেলা ও দূরপাল্লার অসংখ্য বাস-ট্রাক।
ব্যস্ততম রাস্তার এহেন দূরবস্থার অবসানের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, একনেকের সভায় রাস্তাটি মেরামতে ৩০ কোটি টাকা পাশ হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হবে।

কাজ বিলম্ব হবার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাস্তাটির মেজর মেরামত করা হবে তাই একটু সময় লাগছে। এ ছাড়াও ঠিকাদার নিয়োগ জটিলতা আছে বলেও তিনি দাবি করেন। 

স্থানীয়দের দাবি রাস্তাটির স্থায়ী সংস্কারে অন্তত দু কিলোমিটার ঢালাই ও রাস্তার পাশ দিয়ে ড্রোন নির্মাণের। 

এ ছাড়াও অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের দাবিও জানান তারা।

এবিএন/খালিদ হাসান/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ