হারাগাছে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে ধর্ষক
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৫৫
রংপুরের হারাগাছ থানা এলাকায় স্কুলছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণ ও গোপন ক্যামেরায় দৃশ্য ধারণ করার মামলায় গ্রেফতার রাসেল মিয়া (২১) দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মুহম্মদ আব্দুল আলীম মাহমুদ তার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
পুলিশ কমিশনার বলেন, সোমবার রংপুর মেট্টোপলিটন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অপরাধী রাসেল মিয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। সে একাধিক মেয়েকে ধর্ষণ এবং সেই ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে টাকা হাতিয়ে নিতেন বলেও জবানবন্দীতে উল্লেখ করেছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড শেষে আদালত ধর্ষক রাসেলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ কমিশনার মুহম্মদ আব্দুল আলীম মাহমুদ আরো বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন। এর সঙ্গে একটি চক্র কাজ করছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত জানানো যাচ্ছে না। জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশ অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আরপিএমপি সহকারী পুলিশ কমিশনার (মাহিগঞ্জ জোন) ফারুক আহমেদ বলেন, হারাগাছ থানায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি রাসেল ও মঞ্জুরুল রানাকে গত রবিবার দুপুরে আরপিএমপি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে দশদিন করে রিমান্ড আবেদন জানানো হয়।
শুনানি শেষে বিচারক মামলার প্রধান আসামি রাসেল মিয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং অপর আসামি মঞ্জুরুল রানাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রিমান্ড শেষে আসামিকে সোমবার সন্ধায় রংপুর মেট্টোপলিটন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। রাসেল মিয়া স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও গোপন ক্যামেরায় ধর্ষণের ভিডিও ধারনের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন।
এবিএন/মিজানুর রহমান/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ