আজকের শিরোনাম :

কালকিনিতে মাদক ব্যবসায়ীর সাথে পুলিশের রফাদফার অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ মে ২০১৮, ১৭:৩২

মাদারীপুর, ৩০ মে, এবিনিউজ : মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ডাসার থানার এক কনস্টেবল সাইফুলের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী নয়ন বেপারীকে টাকার বিনিময় রফাদফা করে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে গত প্রায় আড়াই মাস আগেও এই কনস্টেবল সাইফুলে নামে অভিযোগের পরও দিব্যি তার অনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে ।  

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ডাসার থানার কনস্টেবল সাইফুল গত রবিবার সকালে বনগ্রাম এলাকার মাদক ব্যবসায়ী সত্তার বেপারীর ছেলে নয়ন বেপারী(২২)কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তবে মাদক ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজনের সাথে মোটা অংকের টাকার বিনিময় রফাদফা করে কনস্টেবল সাইফুল। পরে নয়ন বেপারীকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
 
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, গত প্রায় আড়াই মাস আগেও এই কনস্টেবল সাইফুলে নামে অভিযোগ দিয়েছিলো ডাসার থানার ভুক্তভুগি এলাকাবাসী ভয়ভিতি দেখিয়ে অভিযোগের দিয়েছে তাকে বলতে বাধ্য করে এই সাইফুল। সিনিয়র অফিসারের সহযোগিতায দিনের পর দিন তার অনৈতিক কার্যকলাপ দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে। মনে হয় সাধারন জনগন তার কাছে জিম্ম। তবে হয়রানির ভয়ে প্রকাশে কেউ মুখ খুলতে চায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তিরা বলেন, ডাসার থানার কতিপয় অসাধু পুলিশ অফিসারের সহযোগিতা নিয়ে দিনের পর দিন অনৈতিক কাজ কর যাচ্ছে কনস্টেবল সাইফুল। এ থানায় প্রায় তিন বছর যাবত চাকুরি করার সুবাদে অনেক কিছুই তার জানার ভিতরে রয়েছে। আমরা সাধারণ জনগন এ সব খারা পুলিশের কবল থেকে মুক্তি চায়।

কালকিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সুজন মীর জানান, বনগ্রাম এরাকার নয়ন বেপারীকে ডাসার থানায় পুলিশ আটক করেছিলো, মাদক সহ ধরেছে কিনা আমি সঠিক জানিনা। আমি শুনেছি সন্ধেহ করে ধরা হয়েছে। বর্তমানে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। শুনেছি ওর বাড়ির লোকজন মুচলেখা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়েছে। তবে আগে মাদকের সাথে জরিত ছিল।

ডাসার থানার পচ্চিম খান্দলী এলাকার নয়ন বেপারী জানান, আমাকে এসপি অফিসে থেকে নোটিস করা হয়েছিল। এসআই নুরুসলাম ও কনস্টেবল সাইফুলের নামে কে অভিযোগে করেছে।

ইন্সেপেক্টর (ডিবি) ফায়েকউজ্জামান শেখ জানান, প্রায় আড়াই মাস আগে এসআই নুরুসলামের নামে একটা অভিযোগ আসছিলো তদন্ত করে তাকে বদলিও করা হয়েছে। তবে কনস্টেবল সাইফুলের নামে আসেনি।

কনস্টেবল সাইফুল জানান, আমি ওসি স্যারের নির্দেশে নয়ন বেপারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। তবে তাকে ছেড়ে দেওয়ার মালিক আমি নই। আমার ওসি এমদাদুল হক স্যার আছে, ওসি তদন্ত নাসির স্যার আছে। আপনি তাদের সাথে কথা বলেন।

ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এমদাদুল হক মুঠোফেনে দায় সারা কথা বলেন, নয়ন বেপারীকে আটক করা হয়েছিল। নয়নের বাবা বলেছে, সে ভাল হয়েগেছে। তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোন টাকা পয়সা নেওয়া হয়নি।
মাদারীপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. সরোয়ার হোসেন জানান, টাকার বিনিময়ে মাদক ব্যবসায়ী ছেড়ে দেওয়ার এমন ঘটনা হয়েছে কি না। যদি হয়ে থাকে, তবে ঘটনার তদন্ত করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এবিএন/সাব্বির হোসাইন আজিজ/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ