আজকের শিরোনাম :

মাহাদী নয়, বিমান ছিনতাই চেষ্টার মূল নায়ক পলাশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:০৫

চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাটির সৃষ্টি হয় রবিবার বিকেলে। অস্ত্রধারী এক ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে বাংলাদেশ বিমানের ময়ূরপঙ্খি ফ্লাইট। সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয় বিমানটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়েছে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে ঘটে ঘটনাটি। প্রায় তিন ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস নজরদারি অতঃপর ৮ মিনিটের সফল কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় ছিনতাইকারী। নিরাপদে বের করে আনা হয়, পাইলট, ক্রু এবং যাত্রীদের।

গতকাল প্রায় সকল দায়িত্বশীল সূত্রই ছিনতাইকারীর নাম প্রকাশ করেছে মাহাদী। কেউ কেউ নাম উল্লেখ করেছে মো. মোজাহিদ। তবে আজ ছিনতাইকারীর আসল নামটি প্রকাশ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব। র‌্যাবের দাবি ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে ছিনতাইকারীর আসল পরিচয় জানা গেছে। বিমানের যাত্রী তালিকা অনুযায়ী নাম উল্লেখ ছিল অঐগঊউ/গউ চঙখঅঝঐ। সে সিট নম্বর ১৭-এ তে বসেছিল।

র‌্যাবের ক্রিমিনাল ডাটাবেজ অনুযায়ী অস্ত্রধারী ওই যুবকের নাম মো. পলাশ আহমেদ। তার বাবার নাম পিয়ার জাহান সরদার। র‌্যাবের দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী পলাশের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা গ্রামে।

সোনারগাঁও ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হলেও পলাশ পড়াশোনা শেষ করতে পারেনি বলে জানা গেছে। তবে স্থানীয় তাহিরপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২০১১ সালে পলাশ দাখিল পাস করে।

পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশনা পেয়ে রবিবার রাতে সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ নিহতের ছবি নিয়ে নারায়ণগঞ্জের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা গ্রামের পি আর জাহানের বাড়ি যায়। পি আর জাহানকে ছবি দেখাতেই এবং দুবাই যাত্রীর সকল তথ্য মিলিয়ে নিহত ছিনতাইকারীকে তার ছেলে পলাশ বলে নিশ্চিত করেন।

নিহত ছিনতাইকারীর লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে জানিয়ে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল কান্তি বড়ুয়া বলেন, সোমবার বিকেল সোয়া ৫টা পর্যন্ত নিহতের লাশ হিমাগারে রয়েছে। চলছে লাশের ময়না তদন্ত প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, নিহতের পরিবার থেকে কেউ এলে তার হাতে লাশ হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া এ ঘটনায় সিভিল অ্যাভিয়েশন কতৃপক্ষ একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে জানালেও এ রিপোর্ট লেখা (৫টা ১০) মিনিট পর্যন্ত পতেঙ্গা থানায় এজাহার পৌছেনি বলে জানালেন ওসি উৎপল বড়–য়া।

উল্লেখ্য, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজ উড্ডয়নের পর এক অস্ত্রধারী যাত্রী তা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করে। পাইলট কৌশলে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে উড়োজাহাজটি চট্টগ্রাম হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করান। পরে কমান্ডো অভিযান শুরুর মাত্র ৮ মিনিটের মধ্যে সন্ধ্যা ৭টা ২৪ মিনিটে ৭৩৭ উড়োজাহাজটি জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়।


এবিএন/রাজীব সেন প্রিন্স/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ