আজকের শিরোনাম :

হারাগাছে ধর্ষক রাসেল দুই দিনের রিমান্ডে : অপরজন কারাগারে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৪১

রংপুরের হারাগাছ থানা এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করার মামলায় কুখ্যাত ধর্ষক রাসেল মিয়ার (২১) দুই দিনের রিমা- মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই মামলায় এজাহারভুক্ত মঞ্জুরুল রানাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আজ রবিবার দুপুরে রংপুর মেট্টোপলিটন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম এ আদেশ দেন। রাসেল কাউনিয়া উপজেলার ভিতরকুটি মাঠেরপাড়া গ্রামের মানু মিয়ার ছেলে।

রংপুর মেট্ট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি পুলিশ কমিশনার (মাহিগঞ্জ জোন) ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: ফারুক আহমেদ বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি রাসেল ও মঞ্জুরুল রানাকে রবিবার দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০দিন করে রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে বিচারক মামলার প্রধান আসামি রাসেল মিয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং মঞ্জুরুল রানাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মঞ্জুরুল ওই ইউনিয়নের ধুমেরকুটি গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাসেল ও মঞ্জরুল রানা নিজেদেরকে ওই ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দাবি করে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। মঞ্জুরুল রানা তার ফেসবুক আইডিতে নিজেকে ১নং সারাই ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রাসেল মিয়াও নিজেকে ওই ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক দাবি করে বিভিন্ন কর্মকা-ে অংশ নিতেন।

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুশান্ত সরকার বলেন, রাসেল ও মঞ্জুরুল রানা ছাত্রলীগের কোনো কর্মী বা সমর্থক নয় এবং সারাই ইউনিয়নে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। ওই এলাকার কিছু ছেলে নিজেদের ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে এমন অপকর্ম করছে। আর কারও ব্যক্তিগত অপরাধ ও অপকর্মের দ্বায় ছাত্রলীগ  নিবে না। সুশান্ত সরকার তিনিও এ রকম অপরাধীদের দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।

মামলা ও পুলিশ সূত্র জানায়, স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রতিবেশী কলেজছাত্র রাসেল দীর্ঘদিন প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। মেয়েটি প্রথমে সাড়া না দিলেও একপর্যায়ে রাসেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরপর রাসেল প্রেমের অভিনয় করে মেয়েটিকে রংপুর শহরের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। একই সঙ্গে রাসেলের সহযোগী বন্ধু মঞ্জুরুল রানা গোপন ক্যামেরায় এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করে।

এরপর রাসেল ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাসেল ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আবার ধর্ষণ করে। প্রথম ঘটনার দিন থেকেই মেয়েটি অনেকটা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়ে। সে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। হঠাৎ তার অস্বাভাবিক আচরণ পরিবারের সবাইকে ভাবিয়ে তোলে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে বিষয়টি পরিবারকে জানায়।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার মেয়েটির ভাই বাদী হয়ে রাসেল ও মঞ্জুরুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ও পর্নগ্রাফি আইনে দুইটি মামলা করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে আসামি রাসেল ও তার সহযোগী মঞ্জুরুলকে গ্রেফতার করা হয়।

 

এবিএন/মিজানুর রহমান/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ