আজকের শিরোনাম :

সুন্দরগঞ্জে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:১৩

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ন্যাশনাল সার্ভিসের অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা খাদেমুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে সেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। এছাড়া বেকার যুবক- যুবনারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি চালু করলে এ উপজেলায় ৫ হাজার ৪০ জন বেকার যুবক-যুবনারীকে উপজেলা প্রশাসন বয়স ভিত্তিক তালিকভুক্ত করেন। তালিকাভুক্ত বেকার যুবক-যুবনারীদের প্রশিক্ষণ চলাকালে অনুপস্থিত যুবক-যুবনারীদের উপস্থিত দেখিয়ে প্রশিক্ষণ ভাতা উত্তোলন করে নিজেই আত্মসাৎ করেন।

অপরদিকে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষক হিসাবে নামের তালিকা তৈরী করে তাদের না জানিয়ে ভুয়া ভাউচার তৈরী করে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্য করে আসছেন। এদিকে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে প্রাইমারী ও হাইস্কুলের আনারী শিক্ষকের মাধ্যমে নামে মাত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশিক্ষণ ভাতা উত্তোলন পূর্বক নিজেই পকেটস্থ করছেন। এতে করে সরকারের মহৎ উদেশ্য ও বেকার যুবক-যুবনারীদের কর্মসংস্থানের ব্যাঘাত ঘটছে। এলাকার সচেতন মহল মনে করেন এতে করে সরকারের মহতি উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে।

এ নিয়ে ন্যাশনাল সার্ভিস যুবকল্যাণ সমিতির কিছু সংখ্যক সদস্য যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার এহেন দুর্নীতির নিরপেক্ষ তদন্তসহ বিভাগীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবিতে গত ১০ নভেম্বর /১৮ অভিযোগ দায়ের করেন। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বরাবর অভিযোগ দায়েরের ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও অদ্যাবধি কোন প্রকার তদন্ত না হওয়ায় অভিযোগকারীরা উৎকন্ঠায় ভুগছেন। এনিয়ে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা খাদেমুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো উড়িয়ে দিয়ে বলেন অভিযোগকারীদের বিভিন্ন অন্যায় দাবি মেনে না নেওয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এবিএন/রেদওয়ানুর রহমান/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ