আজকের শিরোনাম :

লালমনিরহাটে জাল সনদধারী সেই প্রভাষকের বিরুদ্ধে অবশেষে মামলা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৫৮

নানা নাটকীয়তার পরে অবশেষে জাল সনদে চাকুরী করে প্রতারণার অভিযোগে লালমনিরহাটের বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক শাহানা পারভীনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন ওই কলেজের উপাধ্যক্ষ মরতুজা হোসেন। অভিযুক্ত শাহানা পারভীন বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক। তিনি সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের খেদাবাগ গ্রামের সৈয়দুল হকের মেয়ে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৯ সালে ৯ জুলাই ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক হিসেবে শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয়ে যোগদান করেন শাহানা পারভীন। নিয়োগকালীন সময় রোল ২২০৮০৫১২ ও রেজি নং ৬১৭৩৫৭১ উল্লেখ করে দ্বিতীয় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সনদ দিয়ে ২০১০ সালে ১০ নভেম্বরে এমপিও ভুক্ত শিক্ষক হন তিনি। যার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল বলে শনাক্ত করে শাহানা পারভীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২০১৮সালের ১১ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অঞ্চল রংপুরের উপ-পরিচালক বরাবর চিঠি পাঠান এনটিআরসিএ’র সহকারী পরিচালক মোস্তাক আহমেদ।

এর প্রেক্ষিতে ২৫ অক্টোবর অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করতে নির্দেশনা দিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আখতারুজ্জামান। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নানান টালবাহনা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। ফলে অভিযুক্ত প্রভাষক শাহানা পারভীনের বেতন ভাতা স্থগিত করে আগামী তিন দিনের মধ্যে শিক্ষক নিবন্ধন সনদের মূল কপি কলেজ অফিসে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্ব থাকা উপাধ্যক্ষ মরতুজা হোসেন। কিন্তু কয়েক মাসেও সেই চিঠির সদুত্তর মিলেনি।

অবশেষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আখতারুজ্জামানের নির্দেশনায় চাকুরীতে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারনার অভিযোগ তুলে প্রভাষক শাহানার বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কলেজটির উপাধ্যক্ষ মরতুজা হোসেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে সিআইডিকে হস্তান্তর করে সদর থানা।

বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ বাদি মরতুজা হোসেন জানান, ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। জালিয়াতির মাধ্যমে কি পরিমান সরকারী অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। তার পরিমানসহ তথ্য তদন্ত কর্মকর্তাকে দেয়া হবে। তবে ১৯ লাখ টাকার মত বেতন ভাতা বাবদ উত্তোলন করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম জানান, সনদ জাল জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারনার অভিযোগ দেয়ায় মামলা হিসেবে গন্য করে সিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাদি অভিযোগে আত্মসাৎকৃত অথের তথ্য দিলে মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দেয়া যেত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ