আজকের শিরোনাম :

ফাল্গুনী উৎসবে মুখরিত দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ অনিল বাবাজীর মেলা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৫৪

ভোলা জেলার তজুমদ্দিনে শহরের কোলাহলের আড়ালে ছবির মতো গ্রাম আড়ালিয়া। আর এ গ্রামেরই অপরূপ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি অনিল বাবাজীর আশ্রম। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে প্রকৃতি যখন অপরূপ সাজে সজ্জিত হয় তখনই ফাগুন উৎসবের সাথে নাম সংকীর্ত্তণে মেতে ওঠে ঐতিহ্যবাহী এ মেলাপ্রাঙ্গণ। প্রতিবছরের ১০ই ফাল্গুন শ্রী শ্রী অচ্যুতানন্দ ব্রহ্মচারীর(অনিল বাবাজীর) তিরোধানের দিন থেকে শুরু হয় এ মেলার আনুষ্ঠানিকতা।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষাধিক মানুষের আগমনে মুখরিত হয় পাঁচ দিনব্যাপী এ মেলা। হরিনাম সংকীর্ত্তণ শ্রবনের উদ্দেশ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ এ মেলায় সমবেত হলেও প্রকৃতপক্ষে সকল ধর্মের মানুষের আগমনে ফুটে উঠে এ মেলার অসাম্প্রদায়িক চেতনা।

সনাতন ধর্মের পৌরানিক সত্য, ত্রেতা,  দ্বাপর ও কলি এই চার যুগের অবতারদের কাহিনী ভক্তগণের কাছে চিত্রিত করতে বিগ্রহ প্রদর্শনী দ্বারা নববৃন্দাবন ধামের আয়োজন করেছেন আয়োজকরা। মালা জপের জন্য এখানে সৃষ্ট মালাচক্র হয়ে উঠেছে মেলার অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়া ভক্তবৃন্দের গঙ্গাস্নানের পবিত্রতার  আশা পূরণে পুকুরে গঙ্গাজল মিশ্রিত করে আহবান জানানো হয়েছে পবিত্রতার দেবী গঙ্গাকে।

ভক্তদের কাছে আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা মহাসাধক অনিল বাবাজী মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যের অবতার হিসেবে পূজিত হন। কথিত আছে, ছয়মাস শুধুমাত্র তুলসীজল গ্রহণ করে কঠোর সাধনায় মেতে থাকেন কিংবদন্তি সাধক অচ্যুতানন্দ ব্রহ্মচারী।

অর্ধশত বছর প্রাচীন এ মেলা ধর্মীয় গন্ডী পেরিয়ে পেয়েছে নতুন মাত্রা। আসবাবপত্র, খেলনা, অলংকার, বাসনপত্র, বই-পুস্তক, প্রসাধনী, হরেক রকমের মিষ্টি ও খাবারের দোকান সহ প্রায় পাঁচশত স্টল স্থান পায় আশ্রমের বিশালায়তন আঙ্গিনায়। প্রতিবছরই কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক ও বিদ্বজ্জনের পদধূলিতে ধন্য হয় এ উৎসব আঙ্গিনা। বিশটির মতো খ্যতনামা কীর্ত্তনীয়া সম্প্রদায় দিবা রাত্রি নাম সংকীর্ত্তণ করেন এ আশ্রমে। দশ হাজার ভক্ত এখানে প্রসাদ গ্রহণ করেন প্রতিদিন।

এদিকে, এতবড় আয়োজন সত্ত্বেও সরকারি সহযোগিতা অপ্রতুল বলে দাবি আয়োজকদের। জনসমাগমের দিক থেকে পর্যাপ্ত শৌচাগারের অভাবে দূষিত হচ্ছে মেলাপ্রাঙ্গণ। এছাড়া মূল সড়কের সাথে সংযুক্ত আশ্রমের সড়কটিকে পিচ ঢালাই করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি স্থানীয় জনসাধারনের।

এবিএন/চপল রায়/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ