চকবাজারে আগুনে পুঁড়ে নিহত
সিংড়ায় রিক্সাচালক সাইফুলের বাড়িতে শোকের মাতম
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:২৭
ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে হতাহতদের এক জনের বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ানদহ ইউনিয়নের পাটকান্দি গ্রামে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে রিক্সাচালক সাইফুল ইসলামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নিহতের বাড়িতেই স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়। সাইফুলের সাথে রিক্সা চালাতে অন্যরা যারা ঢাকাতে গেছে তাদের কেউ কোনো সন্ধানই পাচ্ছেন না, তারা বেঁচে আছেন কি না মরে গেছেন তাও জানেন না।
বাবা কৃষক আব্দুল কাদেরের অভাবের সংসারের স্বচ্ছ্বলতা ফেরাতে স্ত্রী ও সন্তানকে রেখে ঢাকায় রিক্সা চালান সাইফুল। কিন্তু চক বাজারের আগুন কেড়ে নিয়েছে তার প্রাণ। শুক্রবার ভোরে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আসতেই শোকের ছায়া নেমে আসে গ্রাম জুড়ে। স্থানীয় ইউপি সদস্য সানোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত সাইফুলের লাশ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। লাশ বাড়িতে আনার পরে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতের স্বজনরা। পরে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে নিজ গ্রামে জানাযা শেষে পাটকান্দি কবরস্থানে নিহত সাইফুলের দাফন করা হয়।
এদিকে, স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, শুধু সিংড়ার সেরকোল, পুঠিমারী, কুশাবাড়ী, নতুন পাড়া, নলবাতা,নীলচরা, পাটকান্দি, সাঐল, লাড়ুয়া, ধুলিয়াডাঙ্গা, কয়েকশত লোক ঢাকার চকবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যবসা করেন। তাদের দাবি উক্ত ঘটনায় হতাহতের মধ্যে আরো অনেকে থাকতে পারে।
আজ শুক্রবার সকালে নিহত সাইফুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সাইফুল ছিলেন দ্বিতীয় । ঘরে ভিতর বুক চাপড়ে কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন সাইফুলের স্ত্রী খালেদা বেগম। তাকে সুস্থ্য করার জন্য মাথায় পানি ঢালছেন স্বজনরা।
ছোট বোন শাহিনা বেগম ভাইয়ের শোকে কাঁদতে কাঁদতে মূর্ছা যাচ্ছেন। মা হাসনা বানু বেগম ছেলের মৃত্যুতে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। আর শৈশব থেকে আদর স্নেহে ভাই সাইফুলকে লালন-পালন করা বড় ভাই হাসান আলীর বিলাপ ভারী করে দিচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। নিহত সাইফুলে চাচাতো ভাই রতন আলী বলেন, তারা দুজন কামরাঙ্গী চরে থেকে প্রায় ১৫ ধরে রিক্সা চালিয়ে জীবন-জাপন করে আসছিল। ঘটনার দিন দুজন এক সাথে রিক্সা নিয়ে বেড়িয়ে পরে। রতন আলী মেসে ফিরলেও সাইফুলের না ফিরাতে তার মোবাইল ফোনে বা বার ফোন করে সারা না পাওয়া চকবাজারে আগুনে পুরে হতাহতের ঘটনা তাকে বেশী উদ্বিগ্ন করে। এক পর্যায়ে তার গ্রামের বাড়িতে বিষয়টি জানানো হলে বড় ভাই হাসান আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে গলার মালা ও পায়ে চিহ্ণ দেখে নিহত সাইফুলের মৃত্যদেহ শনাক্ত করে। এদিকে নিহত সাইফুলের স্ত্রী খালেদা ও দুই মেয়ে খাদিজুল (৭) সাদিয়া (৫) নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তার বাবা আব্দুল কাদের। কারন তার ছেলের আয় রোজগার দিয়েই চলতো ছয় জনের সংসার খরচ। অসহায় এই পরিবারের প্রতি সহযোগীতায় সরকার এগিয়ে আসবেন এমনটাই প্রত্যাশা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।
এবিএন/রাকিবুল ইসলাম/জসিম/তোহা
ছোট বোন শাহিনা বেগম ভাইয়ের শোকে কাঁদতে কাঁদতে মূর্ছা যাচ্ছেন। মা হাসনা বানু বেগম ছেলের মৃত্যুতে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। আর শৈশব থেকে আদর স্নেহে ভাই সাইফুলকে লালন-পালন করা বড় ভাই হাসান আলীর বিলাপ ভারী করে দিচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। নিহত সাইফুলে চাচাতো ভাই রতন আলী বলেন, তারা দুজন কামরাঙ্গী চরে থেকে প্রায় ১৫ ধরে রিক্সা চালিয়ে জীবন-জাপন করে আসছিল। ঘটনার দিন দুজন এক সাথে রিক্সা নিয়ে বেড়িয়ে পরে। রতন আলী মেসে ফিরলেও সাইফুলের না ফিরাতে তার মোবাইল ফোনে বা বার ফোন করে সারা না পাওয়া চকবাজারে আগুনে পুরে হতাহতের ঘটনা তাকে বেশী উদ্বিগ্ন করে। এক পর্যায়ে তার গ্রামের বাড়িতে বিষয়টি জানানো হলে বড় ভাই হাসান আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে গলার মালা ও পায়ে চিহ্ণ দেখে নিহত সাইফুলের মৃত্যদেহ শনাক্ত করে। এদিকে নিহত সাইফুলের স্ত্রী খালেদা ও দুই মেয়ে খাদিজুল (৭) সাদিয়া (৫) নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তার বাবা আব্দুল কাদের। কারন তার ছেলের আয় রোজগার দিয়েই চলতো ছয় জনের সংসার খরচ। অসহায় এই পরিবারের প্রতি সহযোগীতায় সরকার এগিয়ে আসবেন এমনটাই প্রত্যাশা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।
এবিএন/রাকিবুল ইসলাম/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ