আজকের শিরোনাম :

কাউনিয়ায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ : গ্রেফতার ২

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:৪১

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় আরপিএমপি হারাগাছ থানা এলাকায় দুই যুবকের বিরুদ্ধে গোপন ক্যামেরার ভিডিও ধারন করে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মেয়েটির ভাই বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্ণোগ্রাফি আইনে হারাগাছ থানায় দুইটি মামলা করেছেন। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার যুবকরা হলেন, উপজেলার সারাই ইউনিয়নের ভিতরকুটি মাঠেরপাড়া গ্রামের মানু মিয়া ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২১) ও ধুুমেরকুটি গ্রামের মমিন মিয়া ছেলে মো. মঞ্জরুল ইসলাম (২২)। দুই যুবকের রংপুর কারমাইকেল কলেজের অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

পরিবার ও পুলিশের ভাষ্য, দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে প্রতিবেশী কলেজ ছাত্র রাসেল প্রেমের প্রস্তাব দেয়। মেয়েটি প্রথমে সাড়া না দিলেও, একপর্যায়ে প্রেমে পড়ে যায়। রাসেল প্রেমের অভিনয় করে মেয়েটির রংপুর শহরের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। একই সঙ্গে রাসেলের সহযোগী বন্ধু মঞ্জরুল গোপন ক্যামেরার ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে।

এরপর বখাটে রাসেল ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে বিভিন্ন স্থানের নিয়ে গিয়ে কয়েক দফা ধর্ষণ করে। গত ৯ ফেব্রুয়ারী বখাটে রাসেল একই ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার দিন থেকেই মেয়েটি অনেকটা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়ে। সে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়। হঠাৎ তার এই অস্বাভাবিক আচরণ পরিবারের সবাইকে ভাবিয়ে তোলে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার বিষয় পরিবারকে জানায়।
 
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বলেন, ন্যাক্কার জনক ঘটনা জানার পরই তিনি এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নেয়া জন্য মেয়েটির পরিবারকে জানান।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে হারাগাছা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার মেয়েটির ভাই বাদী হয়ে ধর্ষক রাসেল ও মঞ্জরুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ও পর্ণ গ্রাফি আইনে দুইটি মামলা করেছেন। অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ধর্ষক রাসেল ও সহযোগী মঞ্জরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুইজনই ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। মেয়েটিকে পরীক্ষার জন্য তাকে কাল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, ধর্ষক রাসেল ও তাঁর সহযোগী বন্ধু মঞ্জরুল গোপন ক্যামেরায় একাধিক মেয়ের  ধর্ষণের ভিডিও ধারণ তাদেরকে ব্লাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা আদায় করত। সে সঙ্গে তাঁরা স্থানীয় একটি চক্রের মাধ্যমে নগ্ন ছবি ও ধর্ষণের ভিডিও বিদেশে পাচার করত। এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। আসামীদের দুজনকেই দশদিন করে দুইটি মামলায় বিশদিনের রিমান্ড চেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধায় রংপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।


এবিএন/মিজানুর রহমান/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ