নামফলক মুছে মানুষের হৃদয় থেকে জিয়ার নাম মুছা যাবে না : ডা. শাহাদাত হোসেন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৫৯
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত স্থান চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস। এই সার্কিট হাউসেই তিনি আততায়ীর হাতে নিহত হয়েছিলেন। সার্কিট হাউসের সাথে শহীদ জিয়ার রক্ত মিশে আছে।
নামফলক থেকে জিয়ার নাম মুছে ফেললেও বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় থেকে জিয়ার নাম মুছে ফেলা যাবে না। চট্টগ্রামের জনগণ সরকারের এ হঠকারী সিদ্ধান্ত কখনোই মেনে নেবে না। আমরা অবিলম্বে জিয়া স্মৃতি যাদুঘরের নাম ফলকে পুনরায় শহীদ জিয়ার নাম স্থাপন করে নাম পরিবর্তনের সরকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহবান জানাচ্ছি।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১১ টায় নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে জিয়া স্মৃতি যাদুঘর প্রসঙ্গ ও সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহবান জানান।
শাহাদাৎ লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, আওয়ামী লীগ মহা জালিয়াতি ও ভোট ডাকাতি নির্বাচনের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ীস্থ জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তন করার জন্য মন্ত্রী সভায় প্রস্তাব তুলে। নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব তোলার পরের দিন ১২ ফেব্রুয়ারী মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ছাত্রফোরামের নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে একদল যুবক জিয়া যাদুঘরের নাম ফলক থেকে প্রকাশ্যে শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলে। তারা শিক্ষা উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পুত্র ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ছবি সম্বলিত একটি ব্যানার টাঙিয়ে দেয়। সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানে এভাবে দিনের বেলায় নামফলক মুছে ফেলার সময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। পরদিন পুলিশের উপস্থিতিতে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের সামনে অবস্থিত শহীদ জিয়ার ম্যুরালে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়। যা একজন সেক্টর কমান্ডারের অপমান নয়, পুরো মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান। এত কিছু ঘটনা ঘটার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতেই বুঝা যায় দিনের বেলায় এ ধরনের ঘটনা রাষ্ট্রযন্ত্রের মদদ ছাড়া সম্ভব নয়। বিএনপি নেতারা বলেন, সরকার প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়েই সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এমন একজন যুগশ্রষ্টা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আওয়ামীলীগ নেতারা মুখে শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে কিন্তু আসলে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়ই বিশ্বাস করে না। সেইজন্য একজন সেক্টর কমান্ডার ও মুক্তিযোদ্ধার নামে প্রতিষ্ঠিত জিয়া যাদুঘরের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ও নামফলক মুছে ফেলার মত ধৃষ্টতা স্থাপন করে গোটা মুক্তিযুদ্ধকে অপমানিত করেছে। তাদের এই উচ্ছৃংখল কর্মকান্ড বাংলাদেশের রাজনীতিকে বিপজ্জনক যুগে নিয়ে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে জিয়া স্মৃতি যাদুঘরের নামফলকে শহীদ জিয়ার নাম পুনরায় স্থাপন করার জন্য চট্টগ্রামের প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান। অন্যথায় ২৫ ফেব্রুয়ারী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি প্রদান এবং ২৬ ফেব্রুয়ারী জিয়া স্মৃতি যাদুঘরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেয় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ে লিখিত বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন. চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট বদরুল আনোয়ার, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি.সহ সভাপতি মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, সাবেক কমিশনার মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর কল্যাণ পার্টির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াস, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু, সাহেদ বক্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জহুরুল আলম, নগর মহিলা দলের সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, সহশ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবু মুসা, বাংলাদেশ ন্যাপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ওসমান গণি সিকদার, চকবাজার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন, সদস্য আলী ইউসুফ প্রমুখ।
এবিএন/রাজীব সেন প্রিন্স/জসিম/তোহা
শাহাদাৎ লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, আওয়ামী লীগ মহা জালিয়াতি ও ভোট ডাকাতি নির্বাচনের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ীস্থ জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তন করার জন্য মন্ত্রী সভায় প্রস্তাব তুলে। নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব তোলার পরের দিন ১২ ফেব্রুয়ারী মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ছাত্রফোরামের নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে একদল যুবক জিয়া যাদুঘরের নাম ফলক থেকে প্রকাশ্যে শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলে। তারা শিক্ষা উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পুত্র ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ছবি সম্বলিত একটি ব্যানার টাঙিয়ে দেয়। সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানে এভাবে দিনের বেলায় নামফলক মুছে ফেলার সময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। পরদিন পুলিশের উপস্থিতিতে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের সামনে অবস্থিত শহীদ জিয়ার ম্যুরালে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়। যা একজন সেক্টর কমান্ডারের অপমান নয়, পুরো মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান। এত কিছু ঘটনা ঘটার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতেই বুঝা যায় দিনের বেলায় এ ধরনের ঘটনা রাষ্ট্রযন্ত্রের মদদ ছাড়া সম্ভব নয়। বিএনপি নেতারা বলেন, সরকার প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়েই সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এমন একজন যুগশ্রষ্টা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আওয়ামীলীগ নেতারা মুখে শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে কিন্তু আসলে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়ই বিশ্বাস করে না। সেইজন্য একজন সেক্টর কমান্ডার ও মুক্তিযোদ্ধার নামে প্রতিষ্ঠিত জিয়া যাদুঘরের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ও নামফলক মুছে ফেলার মত ধৃষ্টতা স্থাপন করে গোটা মুক্তিযুদ্ধকে অপমানিত করেছে। তাদের এই উচ্ছৃংখল কর্মকান্ড বাংলাদেশের রাজনীতিকে বিপজ্জনক যুগে নিয়ে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে জিয়া স্মৃতি যাদুঘরের নামফলকে শহীদ জিয়ার নাম পুনরায় স্থাপন করার জন্য চট্টগ্রামের প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান। অন্যথায় ২৫ ফেব্রুয়ারী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি প্রদান এবং ২৬ ফেব্রুয়ারী জিয়া স্মৃতি যাদুঘরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেয় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ে লিখিত বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন. চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট বদরুল আনোয়ার, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি.সহ সভাপতি মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, সাবেক কমিশনার মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর কল্যাণ পার্টির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াস, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু, সাহেদ বক্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জহুরুল আলম, নগর মহিলা দলের সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, সহশ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবু মুসা, বাংলাদেশ ন্যাপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ওসমান গণি সিকদার, চকবাজার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন, সদস্য আলী ইউসুফ প্রমুখ।
এবিএন/রাজীব সেন প্রিন্স/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ