আজকের শিরোনাম :

চট্টগ্রামে গ্যাস লাইন মেরামত সম্পন্ন : ভোগান্তি শেষে নগরবাসীর স্বস্থি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৫৬

শেষ হলো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের খাল খননের কাজ করতে গিয়ে ফেটে যাওয়া গ্যাসের পাইপ লাইন মেরামতের কাজ। এতে আড়াই দিনের ভোগান্তীর অবসান ঘটল চট্টগ্রাম নগরবাসীর।

গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম নগরীর বড় অংশে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে নগরীর একাধিক এলাকার বাসিন্দাদের। গ্যাসের অভাবে এ কদিন চলেনি বহু গাড়ি। দীর্ঘ ৫৬ ঘন্টা পর মঙ্গলবার ভোররাতে ফেটে যাওয়া লাইনটি মেরামত হলে সকাল থেকেই স্বাভাবিক হয় গ্যাসের সরবরাহ।

আজ মঙ্গলবার সকালে গত আড়াই দিন ধরে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকা অধিকাংশ এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে সকাল থেকে গ্যাসের চাপ আগের ন্যায় স্বাভাবিক হয়েছে।
মেরামত কাজ সম্পন্ন করে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি (কেজিডিসিএল) ব্যবস্থাপক অনুপম দত্ত।

কর্ণফুলি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ কর্তৃপক্ষ (কেজিডিসিএল) জানায়, শনিবার সন্ধ্যার দিকে নগরীর হালিশহর আকমল আলী রোড (মাইট্টেল্ল্যা খাল) এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের খাল খননের কাজ করতে গিয়ে ২৪ ইঞ্চি ব্যাসের রিং মেইল লাইন ফেটে গ্যাসের পাইপ লাইন নষ্ট হয়। এতে এলাকায় প্রচন্ড বেগে গ্যাস নির্গত হয়।

ফলে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে নগরীর কিছু কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। পাইপলাইনে ক্রুটির কারণে সোমবার রাত ১টা পর্যন্ত নগরীর হালিশহর, পতেঙ্গা, বন্দর, আগ্রাবাদ পুরো এলাকা, সদরঘাট, ফিরিঙ্গী বাজার, পাথরঘাটা, আন্দরকিল্লা, হেম সেন লেইন, জামাল খান, চেরাগী পাহাড়সহ করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন অংশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিলো শনিবান সন্ধ্যার পর থেকে।

গত শনি ও রবিবার রাত সোয়া ১২ টার পর কোন কোন এলাকায় গ্যাস লাইন চালু হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ীত্ব ছিলো না। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় এ কদিন চরম ভোগান্তিতে ছিলেন বাসিন্দারা। তাছাড়া এসব এলাকায় সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিল।

কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, চট্টগ্রামে দৈনন্দিন প্রায় ৪শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে বন্দরনগরীর শিল্প, সার কারখানা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য কাজে দৈনন্দিন ৩৩০ থেকে ৩৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকে। তাছাড়া প্রতিদিন বাসাবাড়ির রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় গড়ে ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।


এবিএন/রাজীব সেন প্রিন্স/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ