আজকের শিরোনাম :

লালমনিরহাটে ড. শহীদুল্লাহ পদক পাচ্ছেন সাজেদা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৫৭

নারী উন্নয়নে ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ভাষা সৈনিক ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্মৃতি সম্মাননা পদক পাচ্ছেন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদা আক্তার। 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা প্রফেসর আখতার ইমাম হলরুমে তাকে এ সম্মাননা প্রদান করবেন স্বাধীনতা সংসদ নামক একটি সংগঠন। নারী নেত্রী সাজেদা আক্তার বর্তমান পাটগ্রাম উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভা নেত্রীর দায়িত্বে আছেন। 

নারী নেত্রী সাজেদা আক্তার ১৯৬৩ সালের ১০ আক্টোবর পাটগ্রাম উপজেলার ঘোনাবাড়ী এলাকায় এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন ওই এলাকার একজন আদর্শ কৃষক। পাটগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা অবস্থায় ১৯৭৮ সালে সাজেদা আক্তার সাথে পার্শ্ববর্তী এলাকার পরিবার পরিকল্পনা সহকারী কর্মকর্তা আফির উদিনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর পরেই তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে জড়িয়ে পড়েন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সাজেদা আক্তার। ১৯৯১ সালে পাটগ্রাম উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সম্পাদিকার দায়িত্ব পান। ২০০৬ সাল থেকেই এখন পর্যন্ত  ওই সংগঠনের সভা নেত্রীর দায়িত্বে আছেন। ২০০৮ সালে পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে পাটগ্রামের উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা রাখেন। 

সাজেদা আক্তার সংসার গন্ডি পেরিয়ে রাজনীতিতের সাথে জড়িত থাকার কারণে প্রতি মূহুত্বে মানুষের সাথে মেশার চেষ্টা করেছেন। রাজনৈতিক ও সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড গুলোতে তার ভুমিকা ছিলে উল্লেখ করার মত। একজন নারী হিসেবে অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ায় এর ক্ষতিকর দিক গুলো সংসার জীবনে বুঝতে পাওয়ায় প্রতি মূহুর্তে বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেষ্টা করছেন তিনি। 

এ ছাড়া নারী নিযার্তন রোধে তার উপস্থিত ছিলো ব্যাপক। ফলে পাটগ্রামে আম জনতার কাছে সাজেদা আক্তার একজন সাহসী নারী হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেন। সমাজ উন্নয়নে তার ভুমিকা দেখে স্বাধীনতা সংসদ নামক একটি সংগঠন তাকে সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। 

এ প্রসঙ্গে সাজেদা আক্তার বলেন, আমি ছোট বেলা থেকে সমাজের নানা অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে তোলার চেষ্টা করেছি। কম বয়সে আমার বিয়ে হওয়ায় নিজেই বাল্য বিয়ে ক্ষতিকর বিষয় গুলো বুঝতে পেয়েছি। তাই যখন সময় পেয়েছি নিজের অবস্থান থেকে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধসহ নারীর উন্নয়নে ভুমিকা রাখার চেষ্টা করছি। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত আমি সমাজ সেবায় ভূমিকা রেখে যাবো। পাশাপাশি আমার সম্মাননা পাটগ্রামবাসীকে উৎসর্গ করলাম। 

এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ