মাদ্রাসা ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু : পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:১১
নরসিংদীর রাঙামাটি এলাকার সিরাজুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার ৮ম (কুদুরী) শ্রেণীর ছাত্রীর রহস্যজনক আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে পরিবারের দাবী, এটি আত্মহত্যা নয় এটি পরিকল্পিত হত্যা। গতকাল শনিবার দুপুরে শহরের রাঙ্গামাটি এলাকার সিরাজুল উলূম মাদ্রাসার ৩য় তলার একটি বাথরুম থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ৮ম শ্রেণির ছাত্রী শিমু আক্তার (১৫) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিমু শহরের বানিয়াছল এলাকার কবির হোসেনের মেয়ে। এই ঘটনায় আজ রবিবার নরসিংদী মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গতকাল দুপুরে মাদ্রাসার ৩য় তলায় বাথরুমে মাদ্রাসা ছাত্রী শিমুর লাশ দেখতে পেয়ে পুরো মাদ্রাসায় জানাজানি হয়ে যায়। খবর পেয়ে মাদ্রাসা শিক্ষিকা ও আয়া মিলে তার লাশ সেখান থেকে নামিয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের হাতে নিহতের লাশ হস্তান্তর করলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিহতের জানাজা শেষে বানিয়াছল কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিহত মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিবারের দাবি এটি আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে, আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
নিহতের বাবা কবির হোসেন জানান, শনিবার দুপুরে মাদ্রাসার হুজুর আমাকে ফোন করে সদর হাসপাতালে যেতে বলেন, আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার মেয়ের লাশ পড়ে আছে। তারা জানায় আমার মেয়ে বাথরুমে গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মাদ্রাসায় গিয়ে দেখি বাথরুমে কাপড় রাখার ষ্ট্যানে একটি গামছা ঝুলছে। যেটির উচ্চতা সর্ব্বোচ্চ ৪ ফুট। আর আমার মেয়ের উচ্চতা ছিলো ৫ ফুটের উপড়ে। ৫ ফুট উচ্চতার মেয়ে ৪ ফুট উচ্চতায় কিভাবে গলায় ফাঁস দিতে পারে ? মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কেন আমাদের না জানিয়ে লাশ নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলো। আমি এর সঠিক তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান জানান, আমি ইজতেমায় চলে গিয়েছিলাম, ইজতেমা থেকে আসার পর জানতে পেরেছি। বিষয়টি আমাদের পক্ষ থেকেও তদন্ত করা হচ্ছে। নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সৈয়দুজ্জামান বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিএন/সুমন রায়/জসিম/রাজ্জাক
নিহতের বাবা কবির হোসেন জানান, শনিবার দুপুরে মাদ্রাসার হুজুর আমাকে ফোন করে সদর হাসপাতালে যেতে বলেন, আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার মেয়ের লাশ পড়ে আছে। তারা জানায় আমার মেয়ে বাথরুমে গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মাদ্রাসায় গিয়ে দেখি বাথরুমে কাপড় রাখার ষ্ট্যানে একটি গামছা ঝুলছে। যেটির উচ্চতা সর্ব্বোচ্চ ৪ ফুট। আর আমার মেয়ের উচ্চতা ছিলো ৫ ফুটের উপড়ে। ৫ ফুট উচ্চতার মেয়ে ৪ ফুট উচ্চতায় কিভাবে গলায় ফাঁস দিতে পারে ? মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কেন আমাদের না জানিয়ে লাশ নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলো। আমি এর সঠিক তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান জানান, আমি ইজতেমায় চলে গিয়েছিলাম, ইজতেমা থেকে আসার পর জানতে পেরেছি। বিষয়টি আমাদের পক্ষ থেকেও তদন্ত করা হচ্ছে। নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সৈয়দুজ্জামান বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিএন/সুমন রায়/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ