কিশোরগঞ্জে ২ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ২ জনের ফাঁসি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:২২

কিশোরগঞ্জে দুই কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে আদালত দুই আসামীকে ফাঁসি ও ছয়জনকে চার বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তদেরকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অপর আসামীদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ কিরণ শংকর হালদার আজ রবিবার বিকালে এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামী মোস্তফা মীর, জয়নাল আবেদীন ও দিলবর হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তসহ বাকিরা পলাতক রয়েছেন।

 ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান মনির ওরফে হলুদ ও ব্যবসায়ী শামীম হাওলাদার। অন্যরা হলেন মোস্তফা মীর, আবুল হোসেন, বাবুল মিয়া, জয়নাল আবেদীন, কবির হোসেন ও দিলবর হোসেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্ব তারাপাশা এলাকার আইনজীবী নূরুন্নবীর মেয়ে কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী আফরোজা আক্তার উর্মি ও তার বান্ধবী উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী শহরের গাইটাল এলাকার স্কুল শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে আফরোজা আক্তার সুমি ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই নিখোঁজ হন।

পরিবারের সদস্যরা পরে জানতে পারেন কিশোরগঞ্জে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান (৩০) ও তার বন্ধু ঝালকাঠির ব্যবসায়ী শামীম হাওলাদার (৩৮) তাদেরকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। আসামীরা তাদেরকে ঢাকার একটি হোটেলে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে হত্যা করে লাশ রেখে পালিয়ে যায়। হোটেল কর্তৃপক্ষ পরে কর্মচারীদের সহায়তায় লাশ গুম করে ঢাকার দুটি ঝিলে ফেলে দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে ঢাকায় দাফন করে।

এ ব্যাপারে আফরোজা আক্তার সুমির বাবা আবু বকর সিদ্দিক কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পরে ডিবিতে স্থানান্তরিত হয়। ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
সিংকঃ এ্যাডভোকেট এম এ আফজল , স্পেশাল পিপি-১ কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।


এবিএন/শাফায়েতুল ইসলাম/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ