ফুলবাড়ীয়ায় দেখা মিললো বিলুপ্তপ্রায় পলাশ গাছের
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:১১ | আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:১৪
এক সময়ের সকলের চির চেনা ও পরিচিত পলাশ গাছ ও পলাশ ফুল এখন অত্বিত্ব সংকটে। শুধু ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়াতেই নয় দেশের কোথাও এখন পলাশ গাছ খোঁজে পাওয়া দুস্কর।
এক সময়ে বন জঙ্গলের দিকে তাকালেই দেখা মিলত চির পরিচিত পলাশ গাছও ফুলের। লাল টকটকে অগ্নিধারন করে দাড়িয়ে ছিল বন জোড়ে। তাই তো পলাশকে বলা হত বনের অগ্নিশিখা।
পুরনো গাছ সংরক্ষণ ও পরিচর্যা না করা এবং নতুন করে গাছ লাগানোর উদ্যোগ না নেওয়ায় এ গাছটি এখন বিলুপ্তির পথে।
উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের পাঞ্জানা গ্রামের বিলের মধ্য দিয়ে তালতলা বাজারে যাওয়ার রাস্তার পাশে
আবাদি জমির উপর লাল শাড়ী পড়ে দাড়িয়ে আছে রিবাট বড় একটি পলাশ গাছ । গাছটিতে ফুলে ফুলে ছেড়ে গেছে। গাছটি অনেক দিনে পুরানো । জানা যায়, পলাশ বসন্তের প্রতীক।
রঙভরা বসন্তে পলাশের বিশাল দখলদারিত্ব। পলাশ ফুটলেই বোঝা যায় ফাগুন এসেছে। টিয়া পাখির ঠোঁটের সঙ্গে পলাশ ফুলের দারুন মিল। সে জন্যই বুঝি পলাশ গাছে বসে টিয়া পাখীর মেলা। আর একই কারণে পলাশের প্রচলিত ইংরেজি নাম প্যারোট ট্রি। আবার পলাশ দেখতে অনেকটা বক ফুলের মতো কিন্তু ফুলে গন্ধ নেই ।
পলাশ মাঝারি আকারের পর্ণমোচী বৃক্ষ। শীত আসলেই এ গাছের পাতা ঝরে যায়। বসন্তে গাছ ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। পলাশ এর ফুল দুই প্রকার এক প্রকার পলাশ ফুলের রং আগুনের মতো লাল। আবার হলুদ ও লালচে কমলা রংঙ্গের। পলাশ গাছের বাকল ধূসর। শাখা-প্রশাখা আঁকাবাঁকা।
নতুন পাতা রেশমের মতো সূক্ষ্ম। গাঢ় সবুজ পাতা ত্রিপত্রী। হিন্দু স¤প্রদায়ের অনেকের মত পলাশের গাঢ় সবুজ ত্রিপত্রী হিন্দু দেবতা ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের প্রতীক। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কেউ কেউ মনে করেন পলাশ গাছের নিচে ভগবান গৌতম বুদ্ধের জন্ম হয়েছিল। সংস্কৃতিতে পলাশ হচ্ছে কিংসুক।
বাংলা ও হিন্দি নাম পলাশ। মণিপুরি ভাষায় পলাশ হচ্ছে পাঙ গোঙ। আদি নিবাস ভারত উপমহাদেশ। বিলুপ্ত প্রায় এ পলাশ গাছের অস্তিস্ত রক্ষায় পুরাতন গাছ গুলির সুরক্ষা আর নতুন করে গাছ লাগানোর দাবী পরিবেশবিদদের ।
এবিএন/হাফিজুল ইসলাম স্বপন/জসিম/তোহা
পুরনো গাছ সংরক্ষণ ও পরিচর্যা না করা এবং নতুন করে গাছ লাগানোর উদ্যোগ না নেওয়ায় এ গাছটি এখন বিলুপ্তির পথে।
উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের পাঞ্জানা গ্রামের বিলের মধ্য দিয়ে তালতলা বাজারে যাওয়ার রাস্তার পাশে
বাংলা ও হিন্দি নাম পলাশ। মণিপুরি ভাষায় পলাশ হচ্ছে পাঙ গোঙ। আদি নিবাস ভারত উপমহাদেশ। বিলুপ্ত প্রায় এ পলাশ গাছের অস্তিস্ত রক্ষায় পুরাতন গাছ গুলির সুরক্ষা আর নতুন করে গাছ লাগানোর দাবী পরিবেশবিদদের ।
এবিএন/হাফিজুল ইসলাম স্বপন/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ