আজকের শিরোনাম :

ভালো দাম পেয়ে কৃষকদের মুখে হাসি

সদরপুরের বাঙ্গির যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ মে ২০১৮, ২০:০৫

সদরপুর (ফরিদপুর), ২৯ মে, এবিনিউজ : এ বছর আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। নিজ জেলার চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্নস্থানে যাচ্ছে।  ফরমালিন মুক্ত থাকায় রমযানের নিত্যদিনের খাদ্য তালিকার চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।  রমজানের প্রথম দিকে ওঠা বাঙ্গির দাম ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষকরা বর্তমানে মাঠ থেকে বাঙ্গি তোলা ও বাজারজাতকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

দেখা যায়, খুব ভোর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাঙ্গি সংগ্রহে ফসল মাঠে নামেন। এরপর ক্ষেত থেকে তোলা বাঙ্গি ভ্যান, নসিমন করে বাজারজাত করছেন। এ বছর উপজেলার বাঙ্গি ক্রয়-বিক্রয়ের জন্যে কৃষ্ণুপুর ইউনিয়নের মটুকচর, কাটাখালি, আবুলের মোড়, বাঁধানোঘাট, ভাষানচর ইউনিয়নের নতুন বাজার, কারিরহাট, আমিরাবাদ এলাকায় প্রতিদিন সকাল বিকাল হাট বসছে।

একই সঙ্গে দাম ভালো হওয়ায় উৎপাদন খরচ ওঠায় কৃষকরা লাভবান হবেন বলে তারা মনে করছেন। রমযান শুরুতে মধ্যম ও বড় শ্রেণির একশ বাঙ্গির দর ছিল ২৫শত টাকা। বাছাইকৃত বাঙ্গির শ বিক্রি হচ্ছে ৩হাজার থেকে ৩হাজার ৫শত টাকা পর্যন্ত।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ফরহাদুল মিরাজ জানান, এ বছর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৫১০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন খরচ ধরা হয়েছে ২৫থেকে ৩০হাজার টাকা। বাঙ্গি চাষিদের বিভিন্ন প্রকার পরামর্শ ও সেবা দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া ও বর্তমান পরিস্থিতি বজায় থাকলে প্রায় এ অঞ্চলের কৃষকরা ভালো লাভবান হবে।

বাঙ্গি চাষি আবুল হোসেন বলেন, আমি গত বছর ১বিঘা জমির বিপরীতে এবছর ৩বিঘা জমিতে আমার খরচের টাকা উঠে গেছে বাঙ্গি বিক্রি করে।  আরেক কৃষক চান মিয়া জানান, এ বছর আবহাওয়া ভালো রয়েছে।  আশা করছি, লাভের মুখ দেখবো।  আরেক কৃষক মোঃ সোবাহান জোয়াদ্দার বলেন আমি আমার ক্ষেতের প্রায়ই বাঙ্গি বিক্রি করে দিয়েছি প্রায় অর্ধলাখ টাকা লাভ করতে পারছি।

বাঙ্গি কিনতে আসা মহাজন নুরু মেম্বার সৈয়দ মাতুব্বর জানান, আমরা হাজার হাজার বাঙ্গি কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে গাড়ি যোগে পাঠাই।  এবছর বাঙ্গির ভালো ফলন হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা লাভবান হবে।  

বর্তমানে বাজারদর অনেক ভালো রয়েছে।  আরও জানা গেছে, সদরপুরে রমজান মৌসুমেকে টার্গেট করে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রামজুড়ে বাঙ্গির চাষাবাদ হয়েছে।

এবিএন/মোঃ সাব্বির হাসান/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ