আজকের শিরোনাম :

যমুনার বুকে অসংখ্য চর চৌহালী এনায়েতপুর নৌ চলাচল বিচ্ছিন্ন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:৪৯

যমুনা নদীর বুকে অসংখ্য চর ও ডুবোচর জেগে উঠেছে। বিশেষ করে সিরাজগঞ্জের চৌহালীর সাথে এনায়েতপুরের নৌ চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেই সাথে এ অঞ্চলের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ বঙ্গবন্ধু সেতু ও পাবনার বেড়া উপজেলা ঘুরে গন্তব্যেস্থলে পৌছাতে হচ্ছে। এ কারনে নৌকার মাঝিমাল্লা ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কয়েক সপ্তাহ ধরে।  

ভূক্তভোগীরা জানান, পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় প্রায় দেড় মাস আগে যমুনা নদীর বুকে বিশাল চর ও ডুবোচর জেগে উঠেছে।  এতে নদীর বিভিন্ন চ্যানেলে নৌ চলাচল বিঘ্ন ঘটছে।  ইতিমধ্যেই চৌহালী উপজেলার সাথে এনায়েতপুর থানার নৌ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এনায়েতপুর ঘাটের নৌকার মাঝি মামুন সরকারসহ অনেকেই জানান, গত বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম থেকে যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করে দ্রুত ভাবে। এখন যমুনার পানির গভীরতা সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌচেছে। সেইসাথে নদীতে জেগে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় চর ও ডুবোচর। বিশেষ করে চেহারী উপজেলার সাথে এনায়েতপুর যোগাযোগে এই নৌপথের খাষইজারাপাড়া থেকে রানজানপুর পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকাব্যাপী বিশাল চর জেগে উঠেছে। চৌহালী নৌঘাট থেকে জেলা সদরে যাতায়াতে মাধ্যম এনায়েতপুর বোরিবাঁধ ঘাটের নৌ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। কয়েক সপ্তহ ধরে নৌ যাত্রী ও পন্য বোঝাই নৌযান গুলোকে যমুনার উত্তরে প্রায় ৩২ কিলোমিটার ঘুরে বঙ্গবন্ধু সেতু এবং দক্ষিণে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে পাবনার বেড়া উপজেলা হয়ে ঘুড় পথে এনায়েতপুরে যাতাযাত করতে হচ্ছে।

এদিকে চৌহালী, সিরাজগঞ্জ, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও কাজিপুর উপজেলার চরবাসীকে মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এনায়েতপুর ঘাটের ইজারাদার ইউসুফ আলী বেপারীসহ অনেক যাত্রী বলছেন, এনায়েতপুর নৌকা ঘাট থেকে চৌহালী উপজেলা সদরে যেতে বর্ষা মৌসুমে সময় লাগত মাত্র ১ ঘন্টা। আর এখন লাগে প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা। এ দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য স্থানীয় ঘাট ও নৌকা মালিকরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাংলা ড্রেজার দিয়ে প্রায় আড়াই কিলোমিটার চর খনন করে একটি অগভীর সরু চ্যানেল চালুর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু অর্থাভাবে এই চ্যানেলের কাজটি এখন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সরকারী উদ্যোগে চ্যানেলটি ড্রেজিং করা হলে এ অঞ্চলের মানুষের সহজ যোগাযোগের একমাত্র নৌপথটি সচল হবে।

এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাঃ আবু তাহির বলেন, যমুনায় চর ও ডুবোচর জেগে ওঠায় নৌযান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তবে খুব শীঘ্রই ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নৌপথটি সচল রাখার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এবিএন/এস,এম তফিজ উদ্দিন/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ