জগন্নাথপুরে বিলুপ্তির পথে দেশীয় ছোট মাছ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:৩৩ | আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:৩৭
মাছের প্রতি বাঙ্গালীর ঝোঁক চিরকালের কিন্তু দিনে দিনে কমছে নদী খাল বিল ও জলাশয়। যা আছে এর বেশীর ভাগই হয় বাণিজ্যক ভাবে মাছ চাষ। জগন্নাথপুরের খাল বিল পুকুর-জলাশয় ও নদী থেকে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় দেশিয় ছোট মাছ। প্রাকৃতিক আবাসস্থল ধ্বংস হওয়া এবং ছোট মাছ সংরক্ষনের সরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে উদ্যোগ না থাকায়, আবার পুকুরে বড় মাছ চাষের আগে বিষ দিয়ে ছোট মাছ মেরে ফেরা হচ্ছে।
এছাড়া ব্যবসায়িক ভাবে লাভ জনক না হওয়ায় ব্যবসায়ী এ মাছের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। এতে হারিয়ে যাচ্ছে ছোট প্রজাতির বিভিন্ন মাছ। বিলুপ্তির ঝুঁিকতে থাকা ছোট মাছ পুটি, পাবদা, বাইলা, ভেদা, শিং, কই, টেংরা, বাইম, চিংরি সহ নাম না জানা অনেক প্রজাতির দেশী মাছ। এক সময় দেশী প্রজাতির ছোট মাছে উৎস ছিল হাওর, খাল, বিল, নদী-নালা। বিভিন্ন জলাশয় ছাড়াও নলজুর নদী থেকে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেশিয় জাতের পর্যাপ্ত ছোট মাছ আসত। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ক্রেতারা এখন এ জাতীয় মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলার বাড়ি জগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দাল মিয়া জানান, কোন রকম চাষ ছাড়াই এলাকার বিলগুলোতে এক সময় প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। বিলের অধিকাংশ এলাকা কৃষি জমি করায় এবং জমিতে কীটনাশক ব্যবহার ও পানি সল্পতার কারনে এখন আর দেশিয় মাছ পাওয়া যাচ্ছেনা।
জগন্নাথপুর বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী শ্রী শুশাংক মৎস্য দাস জানান, দেশিয় মাছ সংকটের প্রাকৃতিক কারনগুলোর মধ্যে রয়েছে জলাভুমির সঙ্গে বিশেষ করে হাওর ও বিলের গভীরতা কমে যাওয়ায়, প্লাবন ভুমির সাথে সংযোগ খাল ভরাট, জলাশয়ে বছরের অধিকাংশ সময় পানি না থাকা এবং প্রজনন মৌসুমে পানি প্রবাহ কমে যাওয়া। মনুষ্যসৃষ্ট কারন গুলোর মধ্যে রয়েছে ফসলী জমিতে রাসায়নিক সার, অপরিকল্পিত মৎস্য আহরন, প্রজনন মৌসুমে প্রজনন সক্ষম, মাছ ও পোনা ধরা কারেন্ট জালের ব্যবহার, মাছের আবাস্থল ধ্বংস করা। দেশি মাছ সংরক্ষনে মৎস্য বিভাগের তদারকি বৃদ্ধির দাবী জানাচ্ছেন উপজেলাবাসী।
এবিএন/রিয়াজ রহমান/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ