আজকের শিরোনাম :

চট্টগ্রামে ইমামের পকেটে ইয়াবা : পাচারের আগেই গ্রেফতার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:১৬

বেশ ভুসা কিন্তু আগের মতই তবে পেশাটা পাল্টেছে ঢাকা জেলার বাসিন্দা ওমর ফারুক। প্রায় চল্লিশোর্ধ এ ব্যাক্তি ঢাকার ধামরাই উপজেলা কুশোরা বেংরোয়া গ্রামের আলী আমজাদের ছেলে।

বাড়তি রোজগারের আশায় দীর্ঘ ১৫ বছরের ইমামতি পেশা ছেড়ে সে বর্তমানে একজন ইয়াবা কারবারি। এ কারবারে যুক্ত হয়ে মাত্র চার মাসের মধ্যেই পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ৬টিরও বেশি চালান ইতিমধ্যে পাচার করে ফেলেছেন ফারুক। কামিয়েছে লক্ষ টাকা।

তার এ পেশার ধান্ধাটা চালিয়ে নিতে পুলিশের চোঁখ ফাঁকি দিতেও তার জানা ছিলো বিশেষ কৌশল। তবে সে কখনো ভাবতেও পারেনি তার পেছনে পুলিশের বিশেষ একটি টিমের বিশেষ নজরদারি রয়েছে। জানলে হয়তো আরো বিশেষ কৌশল অবলম্বন করতো নতুবা আপাতত এ কারবার কিছুদিনের জন্য সে বন্ধ রাখতো।

এদিকে একজন কোরআনে হাফেজ হয়েও ওমর ফারুক ইয়াবার কারবারের জড়িত থাকার তথ্য পুলিশের সোর্সের কাছে জানা থাকলেও অজানা ছিলো সাধারণ মানুষের কাছে। ঘটনাটি সাধারণ মানুষের কাছে জানাজানি হয় বুধবার ভোররাতে তাকে ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতারের পর। গ্রেফতারের পর অভিযানে অংশ নেওয়া কোতায়ালি পুলিশের এক সদস্য ঘটনাটা এভাবেই বর্ণনা করেন।

তিনি জানান, বিশেষ নজরদারিতে রেখে আজ বুধবার ভোররাতে নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় বাসে ওমর ফারুককে দেখতে পেয়ে পুলিশ তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তার দেহ তল্লাশী করেন। তার কোমরে ও পাঞ্জাবীর পকেটে বিশেষ কায়দায় লুকানো ৬ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মোহসিন ইয়াবাসহ কোরআনে হাফেজ ইমাম গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন গ্রেফতার ফারুক দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ঢাকার ধামরাই থানার হরিদাসপুর ধোপের বাড়ি জামে মসজিদে ইমামতি করতেন পাশাপাশি ওই এলাকায় হাফেজিয়া নূরানী মাদ্রাসার শিক্ষকও ছিলেন। গত মাস চারেক আগে তার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সাথে ঘনিষ্ঠতা হলে তার সঙ্গে ইয়াবা কারবারের পেশায় নেমে পড়েন।

ওসি বলেন, ফারুক ছিলেন মূলত ইয়াবা পাসকারী। সে কক্সবাজার থেকে সাগর নামের এক ব্যাক্তির কাছ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে তার এলাকার সৈকত নামে অপর এক যুবকের কাছে ইয়াবাগুলো পৌছে দেওয়ার কথা ছিলো। প্রতিটি চালান গন্তব্যে পৌছে দিতে পারলেই সে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার মজুরি পেতো। এর আগেও ৬টির মতো চালান সে পাচার করেছে। মূলত বেশি রোজগারের আশায় ইমামতি ও শিক্ষকতা ছেড়ে এ পেশায় জড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন ওসি মোহসিন।  

ওসি বলেন, গ্রেফতার ওমর ফারুক জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়েছে। তার তথ্যসূত্র ধরেই এ কারবারের সাথে জড়িত মূল আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে এবং মাদক সংশ্লিষ্ট আইনে ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার কথা জানান ওসি মোহসিন।


এবিএন/রাজীব সেন প্রিন্স/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ