আজকের শিরোনাম :

আশাশুনিতে বসবাসের ঠিকানা খোঁজে পেল ২০০ পরিবার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৪৯

এক টুকরো জমি আছে, কিন্তু বসবাসের মত ঘর নির্মাণের সুযোগ না থাকায় এতদিন নিরন্তর কষ্টে মানবেতর বসাবাসে বাধ্য ছিল- আশাশুনির এমন ২০০ পরিবারকে ঘর করে দিয়ে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে পরিবারগুলোর মুখে একরাশ হাসি ও প্রশান্তি ঘুরপাক খেতে দেখা যাচ্ছে।

আশাশুনি উপজেলায় বহু পরিবার রয়েছে যাদের এক টুকরো জমি নাই। যাদেরকে সরকার খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে ঠিকানা করে দিচ্ছে। কিন্তু যাদের এক টুকরো জমি থাকলেও ঘর নির্মান করে ঝড়-বৃষ্টি-বাদল কিংবা রৌদ্র-শীতের ক্লান্তিতে কষ্টকর পরিস্থিতি দুশ্চিন্তামুক্ত করতে উপযোগি ঘর নির্মান করার সক্ষমতা নেই। দিন আনা দিন খাওয়া, না আনলে উপোষ করাই যাদের নিত্য নৈমত্তিক ঘটনা।

দৈনন্দিন চাহিদা পুরনে প্রানান্তকর প্রচেষ্টার মাঝে বাচ্চা-কাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাদেরকে অন্তত মাঠা গোজার নিশ্চিন্ত একটা ঠাঁই খুজে দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদূর প্রসারী চিন্তার ফসল “যার জমি আছে ঘর নাই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মান” প্রকল্পের আওতায় আশাশুনিতে ২০০ ঘর নির্মানের উদ্যোগ।

“আশ্রায়নের অধিকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার” শ্লোগান সামনে রেখে উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ২০০ পরিবারকে বাসস্থান নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় দু’ কোটি টাকা। নির্মান কাজ শুরু হওয়ার পর নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা ও নবাগত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান আশাশুনি যোগাদান করে ২০০ পরিবারের ঘর নির্মান কাজে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করেন। প্রতিটি ঘরে বরাদ্দ এক লক্ষ টাকা।

যা দিয়ে টিনসেড ঘর, টিনের বেড়া, গ্রীল, ভীত পর্যন্ত ইটের গাঁথনি, মেঝে প্লাস্টার ও একটি করে টয়লেট নির্মান করার ব্যবস্থা ছিল। তাদের সুদক্ষ ব্যবস্থাপনায় উপরোক্ত কাজ শেষে কিছু টাকা অবশিষ্ট ছিল। অবশিষ্ট টাকা দিয়ে প্রতিটি বাড়িতে ১টা করে চৌকি খাট, ১ টা তোষক, ১টা বেডশীট, ২ টা বালিশ ও বালিশের কভার. রিংসহ তালাচাবি, ঘরের উঠানামার সিঁড়ি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ উপকারভোগির নাম-ঠিকানা সম্বলিত নেম প্লেট নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।

উপকারভোগিরা বলেন, ঘর নির্মাণের কাজে তারা সন্তুষ্ট। তারা নিজের ঘরে ঘুমাতে ও বিশ্রাম নিতে পারছে, এটি তাদের অনেক পাওয়া। ভবিষ্যতে যাতে আরও মানুষ তাদের ঘরের ব্যবস্থা পায় এজন্য আরও কাজ করা হোক, এ দাবী ও প্রত্যাশা নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারা।  

ক্যাপশান ঃ আশাশুনিতে জমি আছে ঘর নাই এর আওতায় নির্মীত ঘরের পাশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজাসহ অন্যরা।


এবিএন/জি এম মুজিবুর রহমান/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ