আজকের শিরোনাম :

দুর্গাপুরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:২১

জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের গুজিরকোনা গ্রামে ২৫ বছর বয়সী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক নারীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল রবিবার রাতে ভিকটিম বাদী হয়ে ওই গ্রামের আবদুল গনি মন্টু, শাহ আলম ও কালা মিয়ার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।

পুলিশ প্রতিবন্ধী ওই নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সোমবার নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। দুর্গাপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আতোয়ার রহমান জানান, দুর্গাপুরের গুজিরকোনা গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক নারীকে একই গ্রামের মৃত আমরুজ আলীর ছেলে আবদুল গনি মন্টু গত বছরের আগষ্ট মাসের দিকে এক রাতে ঘরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত অবস্থায় ধর্ষণ করে।

এর পর আবদুল গনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায়শই ওই নারীর সাথে সহবাস করত। এরই মধ্যে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। মেয়েটির পরিবার ধর্ষক আবদুল গনিকে বিয়ের কথা বলে। আবদুল গনি বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করে। সে গ্রামের শাহ আলম ও কালা মিয়াকে নিয়ে প্রতিবন্ধী নারীর গর্ভের সন্তান নস্ট করার কথা বলে এবং নানা ভয়ভীতি দেখায়। গত রোববার রাতে প্রতিবন্ধী ওই নারী বাদী হয়ে আবদুল গনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুর্গাপুর থানায় মামলা করেছেন।

আজ সোমবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ মামলার কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় দোকানদার বলেন, মন্টু মিয়া ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতা, তাই ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মন্টু মিয়ার বাবাকে এমন এক ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধারা জবাই করে মেরে ফেলেছিলো। আমরা এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি।


এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম শফিক ‘ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি এর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই সেই সাথে তাঁকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  


এবিএন/তোবারক হোসেন খোকন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ