আজকের শিরোনাম :

রাজবাড়ীতে অটো রিক্সার ভাড়া বৃদ্ধি: অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ মে ২০১৮, ১৮:১১

রাজবাড়ী (ঢাকা), ৭ মে, এবিনিউজ: রাজবাড়ী শহরে অটো রিক্সার অতিরিক্তি ভাড়া বৃদ্ধির কারনে অতিষ্ঠ জন সাধারন। এ নিয়ে প্রতিনয়িতই যাত্রী ও চালকদের সাথে বাক বিতন্ডা, এমনকি হাতাহাতির ঘটনাও ঘটছে।

পূর্বে যেখানে ভাড়া ছিল ৫- বর্তমানে সেই ভাড়া করা হয়েছে ৬/৭/৮/ এমন চার্ট লেখা থাকলেও কোন কোন সময় ১০ টাকা নেওয়া হচ্ছে ভাংতির অজুহাতে।এ দ্বিগুণ ভাড়া বৃদ্ধি করেছে ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সার চালকরা।

এদের একক সিদ্ধান্তের কারনে যাত্রীরা প্রতিনিয়তই চালকদের হাতে হেনস্থা হচ্ছে। অতিরিক্তি ভাড়া প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করলে প্রায়ই চালকদের সাথে যাত্রীদের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকে।

সাধারন যাত্রীরা বলেন, ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে পৌর সভার পক্ষ থেকে শহরে কোন রকম মাইকিং করা হয়নি।এমন কি পৌরসভা থেকে কোন ভাড়ার তালিকাও প্রকাশ করা হয় নি।অটোচালকরা তাদের ইচ্ছে মতো একটি তালিকা করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। আর বলছে পৌরসভা থেকে এই চার্ট করে দিয়েছে।

হঠাৎ করে গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ থেকে মালিকদের পক্ষ থেকে ভাড়ার তালিকা পূর্বের চাইতে দ্বিগুন করে একটি তালিকা তৈরী করে নিজ নিজ গাড়িতে লাগিয়ে রাখে। কোন যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে হট্টগোল করলে তখন তারা ওই তালিকাটি দেখায়। তা নিয়েও যাত্রী ও চালকদের মাঝে প্রতিনিয়ত বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়।

কারণ, যাত্রীরা জানায়- আপনারা পৌর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই অটো রিক্সা শহরে চলাচল করেন। কিন্তু এই তালিকাটি পৌর কর্তৃপক্ষের নয়। এটা আপনাদের বানানো। আমরা এই তালিকানুযায়ী ভাড়া দেবো না এবং মানিনা।

এ বিষয়ে অটো মালিক মোঃ মাজেদ সহ একাধীক অটোচালকের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, আমরা মালিকরা বর্তমানে এই অটো রিক্সা পরিচালনা করে কেহই ভালো অবস্থায় নেই। আমাদেরকে প্রতিনিয়তই লোকসান গুনতে হচ্ছে। কারণ প্রথমে পৌর পাকিং ছিলো ২০টাকা, পরে ২৫টাকা এখন নেওয়া হচ্ছে ৩০টাকা বছরে ১০হাজার ৮শত’ টাকা পৌর কর্তৃপক্ষকে দিতে হয়।

এছাড়াও অধিক বিদ্যুৎ বিল, গ্রেজ ভাড়া, যন্ত্রাংস বাবদ খরচ এবং প্রতিদিন রাস্তায় একটি গাড়িকে ১০ টাকা করে বছরে ৩৬শ’টাকা দিতে হয় লাইন ম্যানকে।তাই মালিকদের এখন আর পোসাচ্ছে না।

এ জন্য আমরা বেঁচে থাকার জন্য ইজারাদার মোঃ ইলিয়াস চৌধুরী সাথে আলাপ করে এই ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া তালিকাটি টানানো আমাদের ঠিক হয়নি।

তিনি আরো বলেন, বেস আগে অটো রিক্সা মালিক সমিতির একটি কমিটি ছিলো। তা এখন বন্ধ হয়ে আছে।

এবিষয়ে বাজার পরির্দশক মো. শহিদুজ্জামান মিয়া জানান, এবার পৌর অটো পার্কিং এর ইজারা দেওয়া হয়েছে ৪৪লক্ষ ১৫হাজার টাকায়।পৌরসভার পক্ষ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে একটি অটো-প্রতিটিপে ৫টাকা হারে পৌর পার্কিং ফি দিবে, যদি প্রতিদিন ১০টি টিপ দেয় একটি অটো তাহলে পৌর পার্কিং ফি আসে ৫০টাকা। কিন্তু ইজারাদার নিচ্ছেন মাত্র ৩০টাকা এক অর্থে ইজারাদার কমটাকায় নিচ্ছেন।


এ বিষয়ে পৌর সচিব মো. মাসুদ আলম সাথে আলাপকালে তিনি জানান, পৌর সভার পক্ষ থেকে কোন ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় নি। অটোচালক ও মালিক পক্ষ নিজেরাই ইচ্ছে মত ভাড়া বৃদ্ধি করেছে যা আইনগতভাবে তারা করতে পারে না।

তবে এই অটো ভাড়ার বৃদ্ধি র বিষয়ে পৌর সভার পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা করা হবে।। তিনি ইজারাদার একটি ভাড়ার চার্ট করে দিয়েছে। সেই চার্ট এ ইজারাদার মোঃ ইলিয়াস চৌধুরী র সই করা রয়েছে। ইজারাদারের এমন চার্ট এর বিষয়ে সচিব বলেন কোন ইজারাদার ভাড়া বৃদ্ধি করতে পারে না।

অপর দিকে এসব পরিবহন চালকদের প্রতিষ্ঠানিক কোন প্রশিক্ষণ না থাকায় প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা এবং যেখানে সেখানে স্ট্যান্ড বসিয়ে শহরে জানজটের সৃষ্টি করছে। তাই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নজরধারী বৃদ্ধি করার জন্য যাত্রী সাধারণ জোড় দাবি জানিয়েছেন।

এবিএন/খন্দকার রবিউল ইসলাম/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ