বাউফলে পৃথক চুরির ঘটনায় এক নারীসহ গ্রেফতার ৭
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৩৪
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় গরু ও মুঠোফোন চুরির পৃথক অভিযোগে গতকাল রবিবার রাতে এক নারীসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ছয়জন গরু চুরির অভিযোগে এবং এক নারীকে মুঠোফোন চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই রাতেই দুইটি গরু উদ্ধার ও একটি ট্রলার জব্দ করেছেপুলিশ।
গরু চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরডিয়ারা কচুয়া গ্রামের মো. সামছুল ব্যাপারীর ছেলে ইয়াছিন ব্যাপারী (২২) এবং গলাচিপা উপজেলার চরকাজল গ্রামের মৃত. হোসেন সরদারের ছেলে ছেলে মো. বশির সরদার (২২) ও মৃত ঃ কালু সরদারের ছেলে মো. হেলাল সরদার (৩২), ছোট শিপা গ্রামের মো. মতি গাজীর ছেলে বশির গাজী (২৭), পূর্ব চরবিশ্বাস গ্রামের মোঃ সুন্দর আলী গাজীর ছেলে বশির গাজী (২৫), বড় কাজল গ্রামের মোঃ নুরুল হক বিশ্বাস এর ছেলে জাহাঙ্গীর বিশ্বাস (৪০)।
এদিকে বাসা ভাড়া নেয়ার অজুহাতে একাধিক বাসায় ঢুকে মুঠোফোন চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ওই নারীর নাম রিপা আক্তার (২০)। তাঁর বাড়ি বাউফল উপজেলা কনকদিয়া ইউনিয়নের বউলতলি গ্রামে। এ নিয়ে তাঁকে তিনবার চুরির অভিযোগে আটক করা হয়।
গরু চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ছয়জনই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশের উপস্থিতিতে রোববার রাতে তাঁরা মানবকন্ঠকে বলেন,রোববার সকালে গলাচিপা উপজেলার ঘাসির চরের বাগান থেকে দুটি গরু চুরি করে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে উঠিয়ে সোমবার বাউফলের কালাইয়া গরুর হাটে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাউফলের বগী এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় কয়েকজন তাঁদের আটক করে কালাইয়া গরুর হাট এলাকায় একটি কাঠের দোকানে নিয়ে আটকে বেধরক পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাচ মোল্লা এসে একটি গরুসহ তাঁদেরকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে দেন। পুলিশ তাঁদেরকে ওই রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান।বশির গাজী অভিযোগ করেছেন,‘তাঁদের সঙ্গে থাকা ১০ হাজার টাকা, ১ টি গরু ও ট্রলারটি স্থানীয় জুয়েল মৃধা (৩৫) নিয়ে যায়। পরে তাঁদেরকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলকাচ মোল্লা বলেন,‘গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ইয়াছিন ব্যাপারীর কাছে জুয়েল মৃধা টাকা পাবেন। এ কারণে ট্রলারটি জুয়েল মৃধা আটক করে রেখেছিলেন।
বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন,‘প্রথমে একটি গরু উদ্ধার হলেও পরবর্তীতে ওই রাতেই আরেকটি গরু ও পরিত্যক্ত অবস্থায় ট্রলারটিও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেছে। গতকাল সোমবার সকালে তাঁদের সবাইকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এবিএন/দেলোয়ারহোসেন/জসিম/তোহা
গরু চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ছয়জনই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশের উপস্থিতিতে রোববার রাতে তাঁরা মানবকন্ঠকে বলেন,রোববার সকালে গলাচিপা উপজেলার ঘাসির চরের বাগান থেকে দুটি গরু চুরি করে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে উঠিয়ে সোমবার বাউফলের কালাইয়া গরুর হাটে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাউফলের বগী এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় কয়েকজন তাঁদের আটক করে কালাইয়া গরুর হাট এলাকায় একটি কাঠের দোকানে নিয়ে আটকে বেধরক পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাচ মোল্লা এসে একটি গরুসহ তাঁদেরকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে দেন। পুলিশ তাঁদেরকে ওই রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান।বশির গাজী অভিযোগ করেছেন,‘তাঁদের সঙ্গে থাকা ১০ হাজার টাকা, ১ টি গরু ও ট্রলারটি স্থানীয় জুয়েল মৃধা (৩৫) নিয়ে যায়। পরে তাঁদেরকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলকাচ মোল্লা বলেন,‘গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ইয়াছিন ব্যাপারীর কাছে জুয়েল মৃধা টাকা পাবেন। এ কারণে ট্রলারটি জুয়েল মৃধা আটক করে রেখেছিলেন।
বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন,‘প্রথমে একটি গরু উদ্ধার হলেও পরবর্তীতে ওই রাতেই আরেকটি গরু ও পরিত্যক্ত অবস্থায় ট্রলারটিও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেছে। গতকাল সোমবার সকালে তাঁদের সবাইকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এবিএন/দেলোয়ারহোসেন/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ