আজকের শিরোনাম :

কালীগঞ্জে মাদক ও জঙ্গি বিরোধী সমাবেশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:২০

‘চলো যায় যুদ্ধে, মাদক ও জঙ্গীর বিরুদ্ধে’ এ শ্লোগান কে সামনে রেখে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মাদক ও জঙ্গী বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরের প্রধান বাসটার্মিনালে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

কালীগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতি, মোচিক সমবায় সমিতি ও পৌর মহিলা সমবায় সমিতি এ সমাবেশের আয়োজন করে।

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের সভাপতিত্বে মাদক ও জঙ্গী বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম আনার।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহা, মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ আলী শিকদার, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আজিজুল হক,

কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনুচ আলী, কালীগঞ্জ পৌর সভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ, উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিসুর রহমান মিঠু মালিথা প্রমুখ।

সমাবেশে প্রধান অতিথি বলেন, প্রশাসনের একার পক্ষে  মাদক ও জঙ্গী  প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তাই প্রশাসনের পাশাপাশি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, কালীগঞ্জে কেউ মাদকের ব্যবসা করতে পারবে না। কালীগঞ্জ কে মাদকের রুট হিসেবেও ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। আমরা কালীগঞ্জবাসীকে সাথে নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। যেকোন মূল্যে মাদক উচ্ছেদ করা হবে। আর মাদক ব্যবসায়ীদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

 তিনি  মাদক ব্যবসায়ীকে ধরিয়ে দিলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার মধ্যে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বড় মসজিদ ও কালীগঞ্জের উপর দিয়ে ডবল রেল লাইনের টেন্ডার হওয়ার কথা উল্লেখসহ কালীগঞ্জের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা-ের চিত্র তুলে ধরেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বলেন, মাদকের সাথে কোন আতাত নেই। মাদকের প্রতি তারা জিরো টলারেন্স দেখাবেন। তিনি মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি হুসিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, আপনাদের ১৫ দিন সময় দিচ্ছি।

এর মধ্যে আপনারা আত্মসমর্পন করেন। মাদকের পিছনে যারা অর্থ লগ্নি করছেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা। আর পুলিশের কেউ যদি মাদকের সাথে যুক্ত থাকে তাহলে তাকে আর চাকুরী করতে হবে না, জেলে যেতে হবে।  

সমাবেশে শিক্ষক, সাংবাদিক, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বর, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক দলের নেতৃবন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশটি সার্বিকভাবে পরিচালনা করেন, শহীদ নুর আলী কলেজের সহকারি অধ্যাপক সুব্রত নন্দী।


এবিএন/যবনিকা/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ