লালমনিরহাটে আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১২
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:৫৫
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এ সময় লালমনিরহাট-বুড়িমারী স্থল বন্দর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্টিবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল আলম। চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয় চান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ সামছুল ইসলাম সুরুজের ছেলে ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলীর ভাইপো ফারুক ইমরুল কায়েস। যিনি গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বিএনপির প্রার্থীর কাছে সামান্য ভোটে হেরেছেন।
এ ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজুল হকও মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু ত্যাগী দুই নেতাকে বঞ্চিত করে নতুন প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলমকে মনোনয়ন দেয়ায় দলীয় কোন্দল প্রকাশ্য লাভ করে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ঢাকা থেকে রংপুর হয়ে বাড়ি ফেরা চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল আলমকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে তার অনুসারীরা মোটরসাইকেল শোভা যাত্রা নিয়ে মহিপুর শেখ হাসিনা সেতুর দিকে যাচ্ছিল। মোটরসাইকেল শোভা যাত্রাটি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের কাছে পৌছলে বিক্ষুপ্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রফিকুল অনুসারীদের পথ রোধ করলে দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া পরে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গুলি ছুড়েন। এতে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়। ভাংচুর করা হয় ১০/১২টি মোটরসাইকেল।
আহতদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুরো উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দুই পক্ষের টান টান উত্তেজনায় আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কায় আতঙ্ক বিরাজ করছে পুরো উপজেলা সদরে।
আদিতমারী থানার (ওসি) মাসুদ রানা জানান, আতঙ্কের কিছু নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ