আজকের শিরোনাম :

চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তোড়জোড়

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৩৪

আগামী ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে কক্সবাজারের চকরিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঝে চলছে অনেকটা ¯œায়ু যুদ্ধ। 

প্রার্থীর পরিমাণ ডজন খানেক হলেও ইতোমধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় মাত্র ৩ জনের নাম হাইকমান্ডে প্রেরণ করায় এ অবস্থা বিরাজ করছে। 

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা মতে আগামী ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত এক মাস যাবত মাঠে-ময়দানে চষে বেড়াচ্ছেন এক ডজন সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা। আসন্ন এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় টিকেট পেতে মরিয়া তারা। এ জন্য দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সব প্রার্থীদের মাঝে তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে চকরিয়া থেকে কেন্দ্রে নাম পাঠানো ৩ জন হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম লিটু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী। 

এ ছাড়া নৌকা প্রতীক পেতে কেন্দ্রে যোগাযোগসহ নানাভাবে লবিং করছেন কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা আমিনুর রশিদ দুলাল, আওয়ামী লীগ নেতা নুরে হাবিব তসলিম।

এ দিকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী বলেন, দলীয় পদে থাকায় নেতকর্মীদের সুখে-দুঃখে সবসময় কাছে ছিলাম। পাশাপাশি পুরো উপজেলায় সাধ্যমত সাধারণ মানুষকে সহায়তার চেষ্টা করেছি। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩ বার নির্বাচিত হয়ে বৈষম্যহীন জনসেবা ও উন্নয়ন করেছি। আশাকরি সবদিক বিবেচনা করে দলীয় মনোনয়ন পাব আমি। 

গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী আরো বলেন, ইতিমধ্যে উপজেলার বেশীরভাগ ইউনিয়ন-ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং পৌরসভার মেয়র ও ১৬ জন চেয়ারম্যান আমাকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানিয়ে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডের কাছে লিখিত আবেদনও করেছেন। 

চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আমি সবসময় রাজপথে ছিলাম। পৌরসভার কাউন্সিলর ও জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছি। এ ছাড়া জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার দেশ সেবায় তারুণ্যকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই আমার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যধিক। 

অপরদিকে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, আমি একজন ক্রীড়া সংগঠক, শ্রমিক নেতা ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আমার পরিচিতি রয়েছে। উপজেলার আওয়ামী লীগের বৈঠকে ৩ জনের নাম প্রস্তাব করা হলেও আমি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। 

নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলমের সভাপতিত্বে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সমন্বয় সভায় একক প্রার্থীর নাম নির্ধারণ করা যায়নি। ফলে পাঠানো হয় ৩ জনের নাম। ওই তিনজন গিয়াস-লিটু-সাঈদী নাকি লবিংয়ে থাকা অন্য কেউ নৌকা পাচ্ছেন তা নিয়ে পুরো উপজেলা জুড়ে চলছে সরব আলোচনা। 

এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ