আজকের শিরোনাম :

কসবায় নকল সরবরাহের দায়ে তিন শিক্ষকসহ ৪ জনের সাজা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৪৫

কসবা উপজেলার মেহারী ওবায়দিয়া ফাজিল মাদরাসার দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে যান্ত্রিক উপায়ে নকল সরবরাহে সহযোগিতার দায়ে ৩ মাদরাসা শিক্ষক ও ১ ফটোস্ট্যাট দোকানীকে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জানা যায়, আজ শনিবার মেহারী ওবায়দিয়া ফাজিল মাদারাসায় ইংরেজী ১ম পত্র পরীক্ষা চলাকালে গোপন সংবাদের  ভিত্তিতে খবর পেয়ে মাদরাসা সংলগ্ন একটি ফটোস্ট্যাট দোকানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তারের নেতৃত্বে অভিযান চালায় । এ সময় ফটোকপি দোকানদার মহসিন রিফাতকে আটক করে তার ফটোস্ট্র্যাট মেশিন থেকে ইংরেজী পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের উত্তরের কম্পোজ কপি উদ্বার করেন।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিনা ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌছে আটককৃত ফটোকপি ব্যবসায়ীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মেহারী ওবায়দিয়া ফাজিল মাদরাসার কম্পিউটার ইন্সট্রাক্টর আবদুল কাইয়ুম, একই মাদরাসার শিক্ষক নুরুল আমিন ও পাশ্ববর্তী আছমাতুন্নেছা মহিলা মাদরাসার শিক্ষক মো.হাফিজুল ইসলামকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ।

 অপরদিকে ফটোকপি ব্যবাসয়ী মহসিন রিফাতকে যান্ত্রিক উপায়ে নকল সরবরাহে সহযোগিতার দায়ে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন এবং তার দোকানকে সিলগালা করে ফটোকপি মেশিনটিকে জব্দ করে নিয়ে আসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

কর্তব্য অবহেলার দায়ে মেহারী ওবায়দিয়া ফাজিল মাদরসার অধ্যক্ষ  মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে  পরীক্ষার কেন্দ্র সচিবের পদ থেকে অব্যাহতী দিয়ে চৌবেপুর আলহাজ্ব শাহআলম দাখিল মাদরাসার সুপার আবদুল আউয়ালকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়।
 
অপরদিকে আজ শনিবার কসবা উপজেলা মেহারী ইউনিয়নের জমশেরপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গনিত পরিক্ষা প্রশ্নপত্র  দেরিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব  আলী আজম জানান, আমার শারীরিক অসুস্থতার দরুন সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিনকে থানা থেকে প্রশ্নপত্র আনার দায়িত্ব দেয়া হয়। ভুলবশত একটি প্রশ্নপত্রের প্যাকেট থানাতে ফেলে আসায় পুনরায় প্রশ্নপত্র নিয়ে পরীক্ষা শুরু করতে কিছুটা বিলম্ব হয়।

 

এবিএন/অলিউল্লাহ সরকার/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ