বালিয়াকান্দিতে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে স্কুলছাত্রকে নির্যাতন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৪৫
মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে রাজবাড়ীর উপজেলার নারুয়া বাজারে প্রকাশ্যে দিবালোকে দড়ি দিয়ে বেধে বেধম ভাবে পিটিয়ে আহত করেছে দুই স্কুল ছাত্রকে। ঘটনাটি ঘটেছে, গতকাল শুক্রবার বিকালে নারুয়া বাজারে।
সাবেক সেনা সদস্যের মারপিটে আহত হয়েছে নারুয়া ইউনিয়নের বিলধামু গ্রামের ফরিদ মোল্যার ছেলে ও বিলধামু আবুল কাসেম মন্ডল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র বিজয় মোল্লা (১১) ও তার সহযোগী একই গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে ও মধুপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্র আসিক (৭)। বিলধামু গ্রামের বাবু মোল্যা জানান, সাবেক সেনা সদস্য জুলফিকার শেখ ফোন দেয় আছরের আযানের পর আমাদের গ্রামের দুটি ছেলেকে আটকে রেখে আমাকে খবর দেয়। পরে আমি তাদের দু,জনকে নিয়ে এসে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেই। আমার সামনে মারপিট করেনি। জুলফিকারের দাবি তারা ফোন চুরি করেছে। পরে সকলের উপস্থিতিতে আমার কাছে ওই দুটি ছেলে বুঝে দেন তিনি।
মারপিটের শিকার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র বিজয় মোল্যা জানায়, নারুয়া গ্রামের সুমনের কাছে তাদের একটি ফোন মেরামত করতে দেয়। শুক্রবার সকালে ফোনটি দেওয়ার কথা ছিল। সকালে দোকানে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার বাড়ীতে যাই। বাড়ীতে না থাকায় তার বাবা জুলফিকার শেখের নিকট বললে সে বলে পরে আসো। বাড়ী ফেরার পথে একটি ফোন পড়ে পাই।
বিষয়টি সকলকে জানাই একটি মোবাইল পথে পেয়েছি। বিকালে ওই দোকানে ফোন আনতে গেলে সুমন ও জুলফিকার আমাদের দু,জনকে দড়ি দিয়ে বেধে রেখে মারপিট শুরু করে। চিৎকার করলে বলে একটি কথাও বলবি না। তোরা ফোন চুরি করলি ক্যান। মারপিটে বাধ্য হয়ে ফোন চুরি করেছি বলে স্বীকার করি। মারপিটে শরীরে রক্ত জমে গেছে।
বিজয়ের বাবা ফরিদ মোল্যা জানান, ছেলেকে মারপিটের কথা শুনে এসে দেখি ছেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করেছে। তাকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক শরীফুল ইসলামের নিকট থেকে চিকিৎসা গ্রহন করা হয়েছে। আমি এ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শিশু নির্যাতনকারীর বিচার দাবী করছি।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জুলফিকার শেখ বলেন, নারুয়া বাজারে আমার ছেলের একটি মোবাইল সারভিসিং এর দোকান আছে সেখানে বিজয় ও আসিক একটি মোবাইল ফোন মেরামত করার জন্য দিয়েছিলো। এই বিষয় নিয়ে আমার ছেলে সুমনকে খুজঁতে আমাদের বাড়িতে আসে দু-জন তখন আমি তাদেরকে বিকেল এ দোকানে আশার কথা বলি। পরে দেখি যে আমার নিজ ব্যবহারিত ংুসঢ়যড়হু মোবাইল ফোন টি নেই। পরে আমার ওদের দুজনকেই সন্দ্রেহ হয়। পরে বিকেলে মোবাইল চুরি সন্দেহে তাদেরকে আটক করি। তাদেরকে পুলিশের ভয় দেখালে মোবাইল চুরির কথা স্বীকার করে। পরে ফোনটিও ফেরত দিয়েছে। এখন ওদের পরিবারের সাথে কথা হয়েছে বসে স্থানীয় ভাবে সমাধান হবে।
এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম আজমল হুদা জানান এবিষয়ে এ পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ কেউ করে নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিএন/খন্দকার রবিউল ইসলাম/জসিম/রাজ্জাক
সাবেক সেনা সদস্যের মারপিটে আহত হয়েছে নারুয়া ইউনিয়নের বিলধামু গ্রামের ফরিদ মোল্যার ছেলে ও বিলধামু আবুল কাসেম মন্ডল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র বিজয় মোল্লা (১১) ও তার সহযোগী একই গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে ও মধুপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্র আসিক (৭)। বিলধামু গ্রামের বাবু মোল্যা জানান, সাবেক সেনা সদস্য জুলফিকার শেখ ফোন দেয় আছরের আযানের পর আমাদের গ্রামের দুটি ছেলেকে আটকে রেখে আমাকে খবর দেয়। পরে আমি তাদের দু,জনকে নিয়ে এসে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেই। আমার সামনে মারপিট করেনি। জুলফিকারের দাবি তারা ফোন চুরি করেছে। পরে সকলের উপস্থিতিতে আমার কাছে ওই দুটি ছেলে বুঝে দেন তিনি।
এই বিভাগের আরো সংবাদ