আজকের শিরোনাম :

সোনাগাজীতে নিখোঁজের পর স্কুল শিক্ষকের লাশ উদ্ধার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:০৩

সোনাগাজী থেকে নিখোঁজের ১ দিন পর কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলায় বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় শিক্ষক আহম্মদ উল্যার মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে জানিয়েছে মডেল থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন।

নিহত শিক্ষক সোনাগাজীর মজলিশপুর ইউপির চরলক্ষীগজ্ঞ গ্রামের জমাদার বাড়ীর আবু আহাম্মদের ছেলে। তিনি দাগনভুঞা উপজেলার মাতুভুঞা ইউনিয়নের করিম উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও অফিস সহকারীর পদে কর্মরত ছিলেন।

নিহতের স্বজনেরা জানিয়েছে, ছুটি শেষে গত মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয়ের যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। অনেক খোঁজাখুজির পরও তার সন্ধান না পেয়ে গত বুধবার দুপুরে তার স্ত্রী হোসনে আরা সোনাগাজী মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করেন। যার নং- ২২৫ তাং-০৬-০২-১৯।

ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, নিখোঁজ ডায়েরী করার পর তার সন্ধানে বিভিন্ন থানায় তারবার্তা পাঠানো হয়। রাতে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায় গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় নিখোঁজ শিক্ষকের লাশ পাওয়ার খবর আসে।

নিহত শিক্ষক ২ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। লাশ উদ্ধারে রাতেই পরিবারের লোকজন কুমিল্লা বুড়িচং থানায় ছুটে যায়।

বুড়িচং থানার (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত বুধবার দুপুরে বাকশিকুল ইউনিয়নের রেললাইনের পাশে আকাশি গাঁছের সাথে গলায় মাপলার জড়ানো লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সোনাগাজী থেকে কিভাবে এখানে আসলো তদন্ত করে দেখা হচ্চে। ময়না তদন্ত শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নিহতের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম সমকালকে বলেন, গত কয়েকদিন পূর্বে আমার স্বামী জানিয়েছিলো স্কুলের টাকা পয়সা নিয়ে সমস্যা চলছে, এ ঘটনায় তার চাকুরী চলে যেতে পারে এমনকি কারাগারে যেতে হতে পারে। এর বাইরে আমার স্বামীর সাথে এলাকায় কারো সাথে কোন দ্বন্দ্ব নেই। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তিনি আরো বলেন, আত্মহত্যা করলেতো বাড়ীতে বা এলাকায় করতে পারতো,আত্মহত্যা করার জন্য কুমিল্লা যাবে কেন। তাকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে।

মাতুভুঞা করিম উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্যদের সভাপতি আলমগীর হোসেন ও প্রধান শিক্ষক বিজন বিহারী ভৌমিক সমকালকে বলেন, নিহত শিক্ষক খুব ভালো ও ধার্মীক ছিলেন। স্কুলের কারো সাথে আর্থিক বিষয়ে তার কোন দ্বন্দ্ব ছিলো এরকম কোন তথ্য আমাদের অবহিত করেনি, এ বিষয়ে আমাদের কোন কিছু জানা নেই। তবে তিনি কয়েকমাস ধরে তিনি শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ্য থাকার কারণে মানসিক বিষন্নতায় ভুগছিলেন। গত মঙ্গলবার ছুটি শেষে স্কুলে যোগদান করার কথা থাকলেও তিনি স্কুলে আসেনি।

মজলিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন আহাম্মদ ও ইউপি সদস্য আবু ইউছুপ বলেন, আহম্মদ উল্যাহ ভালো লোক ছিলেন। এলাকায় তার সাথে কারো দ্বন্দ্ব ছিলেন। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদগাটন করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা।

বৃহস্পতিবার বিকালে নিহতের ভাই ফারুক হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ময়না তদন্ত শেষে লাশ নিয়ে আমরা বাড়ীতে ফিরছি, বাদ মাগরিব জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্তানে দাফন করা হবে।

এবিএন/আবুল হোসেন/গালিব/জসিম 
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ