আজকের শিরোনাম :

বান্দরবানে বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:৩৩

পার্বত্য বাসীর স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষে বান্দরবান বাসীকে বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক জেলার চেয়ে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে ছিল আমাদের বান্দরবান পার্বত্য জেলা। পিছিয়ে পড়া দূর্গম জেলা থেকে বান্দরবান জেলা এখন দেশের শিক্ষার মূলধারার সাথে যুক্ত হয়েছে, কোন কোন ক্ষেত্রে আরো এগিয়েও আছে। বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কারণ, শিক্ষিত মানুষের উন্নয়নের চাবিকাঠি।

অন্যদিকে শিক্ষা শুধু জ্ঞান বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ সৃষ্টি করে না, সুসভ্য মানুষও তৈরি করে। সুশিক্ষিত, সভ্য এবং সৃষ্টিশীল মানুষ তৈরীর কারখানা হলো বিশ্ববিদ্যালয়। সবমিলিয়ে বান্দরবানবাসীদের ভবিষৎত অত্যন্ত উজ্জল ও অযুত সম্ভাবনাময়। বান্দরবান হিলভিউ কনভেনশন হলে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, এ সব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, পাহাড় কন্যা বান্দরবানে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর হলেও উচ্চ শিক্ষার আলো ছড়াতে যাত্রা শুরু করলেন পার্বত্য অঞ্চলের সর্বউচ্চ বিদ্যাপীঠ বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়।

বৃহস্পতিবার (৭ফেব্রুয়ারি) সকালে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধনের একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে বান্দরবান শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের বাস ষ্টেশন এলাকার হিলভিউ কনভেনশন হলে এসে সমবেত হয়। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ সরকারি বেসরকারি উর্ধতন কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। পরে হিলভিউ কনভেনশন হলে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধনের সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড.এএইচএম জেহাদুল করীম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্রগাম বিষক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুদত্ত চাকমা, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমা, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম, বান্দরবান সেনা রিজিয়নের (জিটুআই) মেজর ইপ্তেখার (পিএসি), সদ্য পলিশ সুপার পদোন্নতি প্রপ্ত বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, বান্দরবান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মাকছুদুল আলম, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর নছুর উল্লাহ্, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড.এএফএম আওরাঙ্গ দেব, প্রফেসর সরওয়ার জাহান, রাগুনিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো.আবু ইউছুফ। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের(এমবিএ)র নতুন শিক্ষার্থী বান্দরবান নিউগুলশান এলাকার মো.আব্দুল করিমের মেয়ে উম্মে হুজাইফা মিফতা।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবানের সিভিল সার্জন ড: অংসুই প্রু মারমা, বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সাহ-সভাপতি একেএম জাহাঙ্গির, বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রু মারমা, লক্ষীপদ দাস, সিয়ং ম্ররাে, তিংতিং ম্যা মারমা, থোয়াই হ্লা মং মারমা, বান্দরবান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ এবং বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারিবৃন্দ।  

সভাপতির বক্তব্যে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড.এএইচএম জেহাদুল করীম বলেন, বান্দরবানের সয়ালক এলাকায় ছোট ছোট পাহাড়ের ঢালুতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আদলেই গড়ে উঠছে এশিয়া মহাদেশের অন্যতম অপূর্ব সৌন্দর্যময় এই বিশ্ববিদ্যালায় এখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাসহ সারাবিশ্ব থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা অর্জন করতে আসবে এখানে থাকবে আবাসিক অনাবাসিক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা। তিনি বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষার্থী ও অভিভাকদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

এবিএন/মোহাম্মদ আব্দুর রহিম/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ