আজকের শিরোনাম :

দেবর পালিয়েছে, ভাবীর লাশ ঘরে!

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:৫৬

পানি দিতে দেরী হওয়ায় লক্ষ্মীপুরে গৃহবধু শিল্পী আক্তারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।  আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরভূতা এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত গৃহবধু কুমিল্লার লালমাই উপজেলার আবদুল জাব্বারের মেয়ে।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই আমির হোসেন বাদী হয়ে গৃহবধুর দেবর নিরব হোসেন, শ্বশুর মোসলেম মিয়া ও শ্বাশুড়িসহ তিনজনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন আজ বৃহস্পতিবার সকালে সদর থানায়। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে সবাই।

পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার দুপুরে শিল্পী আক্তারকে তার দেবর নিরব হোসেন পানি দিতে বলে। এসময় গৃহবধু বাড়ির পুকুরে কাজ করছিলেন। পরে পুকুর পাড়ে গিয়ে শিল্পী আক্তারকে দেবর নিরব হোসেন পানি দিতে দেরী হওয়ার বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে দুইজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে তাকে পিটিয়ে এবং তলপেটে লাথি মেরে হত্যা করে পুকুরপাড়ে ফেলে পালিয়ে যায় দেবর নিরব হোসেন। এসময় গৃহবধুর শ্বশুর-শ্বাশুড়িও পালিয়ে যায় বাড়ি থেকে।

সন্ধ্যায় পুকুরপাড়ে গৃহবধুর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভোর রাতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহতের ভাই আমির হোসেন জানান, গত ৬ বছর আগে তার বোনকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরভূতা এলাকার মোসলেম মিয়ার ছেলে হারুনুর রশিদের কাছে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর থেকে তারা কুমিল্লায় বসবাস করত। গত দেড় বছর আগে তার বোনকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসে হারুন। হারুন কুমিল্লার একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করে। ঘটনার দিন হারুন বাড়িতে ছিলনা। তার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান নিহতের ভাই।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এটি একটি হত্যাকান্ড। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে সবাই পলাতক রয়েছে। তাদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এবিএন/আবির আকাশ/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ