আজকের শিরোনাম :

ধর্মপাশায় এক পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র দুটি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:৩৭

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার ধর্মপাশা জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভ্যানু কেন্দ্র ধর্মপাশা সরকারি কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে নতুন নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে চার তলা পর্যন্ত চলছে এসএসসি পরীক্ষা।  পুরো ভবনের কোথাও কোন টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকার ফলে পরীক্ষার্থীরা প্রাকৃতিক ডাকে সারা দিতে বাধ্য হয়ে ভবনের পেছনে উত্তরপাশে চলে যায়।  ভবনের পাশ ঘেষেই রয়েছে একটি বাসা।   

বহিরাগত (পরীক্ষার্থীর অভিভাবক) কেউ কেউ অবস্থান করে সেই বাসায় বা তার আশপাশে। যাদের উদ্দেশ্য প্রাকৃতিক ডাকে সারা দিতে আসা কোনো কোনো পরীক্ষার্থীকে নকল সরবরাহ করা। অনেকেই এভাবে সফল হয়েছে। আবার প্রশাসনের নজরদারিতে কারও কারও সেই চেষ্টা বিফল হয়েছে।

এমন খবর পাওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা চলাকালে সকাল সাড়ে এগারটার দিকে ওই ভবনের পেছনের অংশ পরিদর্শনে যান ধর্মপাশা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু তালেব। তিনি ভবনের পেছনের একটি গর্তে পরীক্ষায় ব্যবহৃত একটি উত্তরপত্র দেখতে পান এবং তিনি লোক দিয়ে সেই গর্ত থেকে উত্তরপত্রটি উঠিয়ে নেন। পরে তিনি ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের অফিস কক্ষে গিয়ে উত্তরপত্রটির সত্যতা যাচাই করেন। পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা তাঁকে জানান উল্লেখিত রোল নম্বর অনুযায়ী উত্তরপত্রটি ওই ভবনের চারতলায় অবস্থিত ৭ নম্বর কক্ষের কোনো একজন পরীক্ষার্থীর।

পরে তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার মো. শেখ ফরিদ আহমেদকে সাথে নিয়ে ৭ নম্বর কক্ষে গিয়ে দেখেন কুড়িয়ে পাওয়া উত্তরপত্রটি ধর্মপাশা জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থী মো. মিলন খানের। কিন্তু পরীক্ষার হলে মিলন অন্য একটি উত্তরপত্রে উত্তর লেখায় ব্যস্ত। মিলনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে উত্তরপত্রটি তার বলে স্বীকার করে। পরে তাকে বহিস্কার করার নির্দেশ দেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আবু তালেব।

তবে বহিস্কৃত পরীক্ষার্থী মো. মিলন খান জানায়, পরীক্ষা শুরুর আগে তার উত্তরপত্রে রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর পুরণ করার সময় তার ভুল হয়েছিল।  ভুল হলে কি করতে হবে তা সে জানতো না।  তাই নতুন উত্তরপত্র নিয়ে ভুল বৃত্ত ভরাট করা উত্তরপত্রটি জানালা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়।

এবিএন/মোঃ ইমাম হোসেন/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ