আজকের শিরোনাম :

সুনামগঞ্জে পিআইসি কমিটিতে বিভিন্ন মামলার আসামি ৬২ জন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:১৮

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত কাজের পিআইসিতে বিভিন্ন মামলার ৬২ জন আসামি রয়েছে বলে জানা গেছে। 

এ বছর শাল্লার বিভিন্ন হাওরের বোরো ফসল রক্ষার জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় ৮০ কিলোমিটার স্থানে বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত কাজে ১১৫টি পিআইসি গঠন করে। এরমধ্যে ৬৩টি পিআইসিতে রয়েছে ৬২ জন আসামি।  শাল্লা উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গঠিত পিআইসিতে দুদক মামলার আসামি থাকার সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হবার পর টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। 

এরই সূত্র ধরে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাপাউবো উপজেলা কাবিটা স্কীম যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি মোঃ আল-মুক্তাদির হোসেন শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জের নিকট গঠিত পিআইসিতে মামলায় অন্তর্ভূক্ত লোকদের তালিকা চান। 

শাল্লা থানার দেয়া তালিকা সূত্রে জানা যায়, মোট ১১৫টি পিআইসির মধ্যে ৬৩টি পিআইসিতে মোট ৬২ জন লোক বিভিন্ন মামলার আসামির তালিকায় রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে পাওয়া যায়, তালিকাভূক্ত আসামিদের মধ্যে ২৫ জন সভাপতি, ২৫ জন সদস্য সচিব ও ১২ জন সদস্য রয়েছে। তবে উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মোঃ আল-মুক্তাদির হোসেনের সাথে এই আসামি তালিকার বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা কাবিটা স্কীম যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও শাখা কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী শমশের আলী মন্টুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। 

উপজেলা কাবিটা স্কীম যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুনুর রহমান বলেন, গঠিত পিআইসি সমূহের লোকজনের নামে দুর্নীতির মামলা রয়েছে কিনা, সাজাপ্রাপ্ত আসামি কি না তা জানতেই এই তালিকা চাওয়া হয়েছে এবং পরবর্তীতে উপজেলা কমিটির পুন:যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত মোতাবেক আসামিদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, আমাদের থানার তালিকা থেকে আসামি ৬২ জনের নাম পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর জমা দিয়েছি। তবে এসব তালিকা থেকে কেউ জামিন কিংবা খালাস পেতে পারেন। সেই তালিকা আমাদের থানায় নেই। 
 
১নং পিআইসির সভাপতি মোঃ এলাচ মিয়া, ১১নং পিআইসির সভাপতি রুবেল চন্দ্র দাস, ১৭নং পিআইসির সভাপতি সুধীর চন্দ্র দাস, ৩১নং পিআইসির সভাপতি মোঃ নামিল মিয়া, ৩৪নং পিআইসির সভাপতি মানিকলাল দাস, ৩৫নং পিআইসির সভাপতি মোঃ মহসিন মিয়া, ৩৬নং পিআইসির সভাপতি মোঃ আব্দুল হক, ৩৮নং পিআইসির সভাপতি রতন চৌধুরী, ৩৯নং পিআইসির সভাপতি চয়ন চৌধুরী, ৪২নং পিআইসির সভাপতি মোঃ টিপু সুলতান, ৫১নং পিআইসির সভাপতি মোঃ আশরাফুল মিয়া, ৫২নং পিআইসির সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান, ৫৮নং পিআইসির সভাপতি মোঃ ফয়জুল হক, ৬০নং পিআইসির সভাপতি মোঃ বশির মিয়া, ৬৪নং পিআইসির সভাপতি মোঃ আবুল মিয়া, ৬৮নং পিআইসির সভাপতি সুব্রত সরকার, ৭১নং পিআইসির সভাপতি বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু, ৭২নং পিআইসির সভাপতি মোঃ মধু মিয়া, ৭৩নং পিআইসির সভাপতি মিল্টন চৌধুরী, ৮১নং পিআইসির সভাপতি মোঃ সাজু মিয়া, ৮৩নং পিআইসির সভাপতি মোঃ লুৎফুর রহমান, ৮৮নং পিআইসির সভাপতি মোঃ শানু মিয়া, ৯১নং পিআইসির সভাপতি মোঃ মোফাজ্জল মিয়া, ১০১নং পিআইসির সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান ও ১০৩নং পিআইসির সভাপতি মোঃ আব্দুল গণি। এর মধ্যে ৮১নং পিআইসির সভাপতি মোঃ সাজু মিয়া একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। 

৫নং পিআইসির সদস্য সচিব অমল দাস, ১৮নং পিআইসির সদস্য সচিব পরিমল দাস, ২৪নং পিআইসির সদস্য সচিব সজল সরকার, ২৮নং পিআইসির সদস্য সচিব উবায়দুল হক, ৩৬নং পিআইসির সদস্য সচিব মোঃ ইকরামুল হোসেন, ৩৮নং পিআইসির সদস্য সচিব অরূপ তালুকদার, ৪০নং পিআইসির সদস্য সচিব স্বপন দাস, ৪১নং পিআইসির সদস্য সচিব জন্টু দাস, ৪২নং পিআইসির সদস্য সচিব মোঃ জাবেদ আলী, ৫০নং পিআইসির সদস্য সচিব মোঃ কাঞ্চন মিয়া, ৫১নং পিআইসির সদস্য সচিব মোঃ আমিনুর মিয়া, ৫২নং পিআইসির সদস্য সচিব মোঃ জহিরুল ইসলাম, ৫৫নং পিআইসির সদস্য সচিব মোঃ জিয়াউর রহমান, ৬৪নং পিআইসির সদস্য সচিব মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, ৬৬নং পিআইসির সদস্য সচিব মোঃ কালাম মিয়া, ৬৮নং পিআইসির সদস্য সচিব শ্রীবাস চন্দ্র দাস, ৭১নং পিআইসির সদস্য সচিব রাকেশ চন্দ্র দাস, ৭২নং পিআইসির সদস্য সচিব সুজিত চন্দ্র দাস, ৭৯নং পিআইসির সদস্য সচিব সজল দাস, ৮১নং পিআইসির সদস্য সচিব নিরঞ্জন দাস, ৮৮নং মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়া, ৮৯নং পিআইসির সদস্য সচিব মোঃ শাহিনুর মিয়া, ১০১নং পিআইসির সদস্য সচিব মোঃ নবী হোসেন ও ১০৩নং পিআইসির সদস্য সচিব মোঃ আব্দুল হক এবং ১১৪নং পিআইসির সদস্য সচিব মোঃ মামুন আল কাওছার।
 
১নং পিআইসির সদস্য মোঃ জাফরান মিয়া, ১১নং পিআইসির সদস্য নিউটন দাস, ১৪নং পিআইসির সদস্য ভবেশ দাস ও সজল দাস, ৪৭নং পিআইসির সদস্য মোঃ এলিম উদ্দিন, ৯০নং পিআইসির সদস্য মোঃ ইছাক মিয়া, ১০১নং পিআইসির সদস্য মোঃ আওয়াল মিয়া, নিক্সন মিয়া ও বাবুল মিয়া, ১০৩নং পিআইসির সদস্য মোঃ মতিন মিয়া, ১০৪নং পিআইসির সদস্য হিরেন্দ্র দাস এবং ১১৩নং পিআইসির সদস্য মোঃ সামছুল হক।
 
প্রাপ্ত সূত্রে দেখা যায় ১০১নং পিআইসির সভাপতি, সদস্য সচিবসহ সকল সদস্যই বিভিন্ন মামলার তালিকাভূক্ত আসামি। 

তা ছাড়া ৩৮, ৫১, ৫২, ৬৪, ৬৮, ৭১, ৭২, ৮১, ৮৮ ও ১০৩নং পিআইসি সমূহের সভাপতি ও সদস্য সচিবগণ বিভিন্ন মামলার তালিকাভূক্ত আসামি। 

এবিএন/অরুন চক্রবর্তী/গালিব/জসিম
    
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ