আজকের শিরোনাম :

হাটহাজারীর কাটিরহাটে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:০২

হাটহাজারীর কাটিরহাট বাজারের ফুটপাত দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় সেখানকার ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও পথচারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ।

বর্তমানে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় কাটিরহাটের দুইটি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশেপাশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীরাও এ ভোগান্তির বাইরে নয় বলে জানা গেছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাজারের মসজিদ থেকে কাটিরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত স্থানের ফুটপাতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সহ মানুষের চলাচলের উপায় নেই। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের পর পুনরায় এসব সড়কের ফুটপাত হকার ও তরকারি বিক্রেতা, মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে।

ফলে কাটিরহাট বাজারের পথচারীদের চলাচলের ফুটপাত দিয়ে উত্তর চট্টগ্রামের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাটিরহাট মহিলা ডিগ্রি কলেজ,বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়,সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,কাটিরহাট মফিদুল ইসলাম ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা'র অসংখ্য শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শত শত কর্মচারী সহ হাজারো সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। আবার কাটিরহাট - খাগড়াছড়ি মূল সড়কের দু’ পাশে রিক্সা ভ্যানে পন্য সাজিয়ে ভ্রাম্যমাণ দোকানী ও হকাররাও বিক্রি করে যাচ্ছে সবজি,ফল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রাদি।

কাটিরহাট মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, মাঝে মধ্যে প্রশাসন এসব অবৈধ স্থাপনা ও হকার উচ্ছেদ করলেও কয়েকদিন পরেই পুনরায় পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। পথচারীদের চলাচলের পথে এবং সড়কের পাশে ভ্যান গাড়িতে পসরা সাজিয়ে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি করায় বিশেষ করে মহিলা এবং ছাত্রীদেরই চলাফেরা করতে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

কাটিরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্রীরা জানান, প্রতিদিনই আমাদের স্কুলে আসতে আর যেতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। আর যেদিন বাজার বসে সেদিন তো দুর্ভোগের মাত্রাতো আরো বেড়ে যায়। ভিড়ের মধ্যে অনেক সময় বখাটে প্রকৃতির ছেলেরা ইচ্ছে করেই গায়ের সাথে ধাক্কা খায়।

স্থানীয়রা এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সহ তাদের অভিভাবকরা ফুটপাত ও সড়কের পাশ দখল করে গড়ে তোলা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ফুটপাতগুলো চলাচল উপযোগী করতে যথাযত কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
 

এবিএন/আলাউদ্দীন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ