আজকের শিরোনাম :

পেকুয়ায় পৃথক ঘটনায় যুবলীগ-ছাত্রলীগসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:২৩

কক্সবাজারের পেকুয়ায় পৃথক ঘটনায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জনকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। 

আহতরা সবাই পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রবিবার রাতে পৃথকস্থানে এসব ঘটনা ঘটে। 

আহতরা হলেন, পেকুয়া ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি ও রাজাখালী ইউনিয়নের উলুদিয়া পাড়ার জাফর আহমদের ছেলে গোলাম কুদ্দুস (৩৮), পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বামুলা পাড়া এলাকার নবী হোসেনের ছেলে ও ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান এবং একই ইউনিয়নের শেখেরকিল্লা ঘোনা এলাকার আবু শরীফের ছেলে সাইফুল্লাহ খালেদ। 

আহত যুবলীগ নেতা গোলাম কুদ্দুস বলেন, গত সংসদ নির্বাচনের দিন রাজাখালী মাতবর পাড়া ভোটকেন্দ্রে আমাদের উপর হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াতের চিহ্নিত ক্যাডাররা। 

এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ ফারুক নিহত হয়। ওইদিন একই ঘটনায় আমাকেসহ আরো কয়েকজনকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছিল হামলাকারীরা। সে ঘটনার জের ধরে রবিবার সন্ধ্যায় একই এলাকার আবুল হাসেম, রুস্তম আলী, মোজাফ্ফর আহমদ, মো. হোছেন, আহমদ ছবি, মাহমদ আলী সোহেলসহ আরো কয়েকজন ব্যক্তি আমাকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে তাদের হাতে থাকা ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হাতে কোপ দিয়ে আঘাত করে। 

রাজাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রিয়াজ খান রাজু বলেন, যুবলীগ নেতা ফারুক হত্যাকান্ডের ঘটনায় অন্যতম সাক্ষী ছিল গোলাম কুদ্দুস। তাকে প্রাণে হত্যা করতে আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালায়। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

এ দিকে, আহতের ভাই হুজ্জাত উল্লাহ বলেন, গত ২৩ ডিসেম্বরে আমাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যাচেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আমার ভাই সাইফুল্লাহ খালেদ বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলাটি প্রত্যাহার করতে বেশ কিছুদিন ধরে আমার ভাইকে হুমকি দিয়ে আসছিল আসামীরা। তাদের এ প্রস্তাব নাকচ করায় মামলার আসামি তারেকুল ইসলামের নেতৃত্ব বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত আমার ভাইয়ের উপর হামলা চালায়। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে তাকে গুরুতর জখম করা হয়।

অপরদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহাদুর বলেন, পেকুয়া থেকে বাড়ী ফেরার পথে পথরোধ করে ছাত্রলীগ নেতা মিজানুরের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপানো হয়েছে। রাজাখালী ইউনিয়নের চিহ্নিত ছাত্রদল ক্যাডার আবুল কালাম, সাগর ও জামশেদের নেতৃত্ব বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত এ হামলায় অংশ নেয়।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, পৃথক হামলার ঘটনাগুলো তদন্ত সাপেক্ষে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে। 

এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ