পটিয়ায় বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ভাইয়ার দীঘির পাড় এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে কক্সবাজারমুখী সৌদিয়া পরিবহন নং (চট্টমেট্রো-ব-১১-৩২৩৫) একটি বাসের সঙ্গে চট্টগ্রামমুখী মাইক্রোবাস নং (চট্টমেট্রো-চ-১১-৪৯৫২) মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছে।

 সৌদিয়া চেয়ারকোচের সজোরে ধাক্কায় মাইক্রোবাস খাদে পড়ে ধুমড়ে মুচড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় নিহত লোকজন দেখে  এলাকার লোকজনের মধ্যে কান্নার আহজারী আকাশভারী করে।

 পটিয়া থানার এএসআই মো. সোহাগ জানান, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ৩জন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর একজন মারা যায়। এ ছাড়া আহত হয় ১১জন যাত্রী। আহতদেরকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। তবে আরো বেশ কয়েকজন মৃত্যু হতে পারে বলে মেডিকেলের এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান।

হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলে নিহতরা হলেন-আনোয়ার হোসেন (৪১), মো. শাহজাহান (৩০) ও মাইক্রোবাসের হেলপার নাজিম উদ্দিন (১৬)। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি উদ্ধার অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিসের পটিয়া ও সাতকানিয়া স্টেশন। ১২ জনকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

স্থানীয়রা উদ্ধার করেন ৬ জনকে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, পটিয়া থেকে ১১ জনকে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে।

 তারা হলেন-আলী আহমদ (৪০), ফরহাদ (২৫), ইরফান (৩৫), আহমদ হোসেন (৫৫), রাশেদুল ইসলাম (৩২), হাসান (২৫), দিলীপ (৫০), নাসির উদ্দিন (৪৫), তৌকির আহমদ (১৫), সাকিব (২২) এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী একজন। এর মধ্যে মাইক্রোবাসের চালক সাকিবকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেছেন। নিহত আনোয়ার সাতকানিয়ার পুরানগড় এলাকার মুন্সি মিয়ার ও সাকিব একই এলাকার ইসহাক মিয়ার ছেলে।

 নিহত শাহজাহান লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া এলাকার হাফেজ মিয়ার ছেলে। তিনি পোস্ট অফিসের কর্মকর্তা। নিহত নাজিমের বাড়ি বান্দরবানের বালাঘাটা এলাকায়। আহতদের মধ্যে ৪-৫ জনের অবস্থা গুরুতর আশংকা জনক বলে জানা গেছে।

 

এবিএন/সেলিম চৌধুরী/জসিম/তোহা