আজকের শিরোনাম :

আশাশুনির কলিমাখালী মাদ্রাসার দুই প্রভাষক লাঞ্চিত : এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:১৪

আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের কলিমাখালী আজিজিয়া ছিদ্দিকীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার দুই প্রভাষককে লাঞ্চিত করার ঘটনায় এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।

মাদরাসার ইংরেজী প্রভাষক নূর মোহাম্মদ ও আরবি প্রভাষক মোস্তফা মিজানুর রহমান গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা ছুটির পর তারা প্রভাষক মিজানুরের মুমূর্ষু মেজ নানীকে দেখতে যান। ফেরার পথে কলিমাখালী গ্রামের ফজলুর রহমান গাজীর ছোট পুত্র হজরত আলী ভুট্টোর বাড়ীর সামনে পৌছলে ভুট্টো পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদেরকে অশ্রাব্য ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালি গালাজ করেন এবং মারতে উদ্যত হন।

স্বামীর আচরণ দেখে স্ত্রী তাকে টেনে বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় ভুট্টো তাদেরকে হাটে ঘাটে যেখানে পাবে সেখানে মারধর করবে এবং নদী পার হয়ে মাদ্রাসায় আসতে দেবেনা বলেও হুমকি দেন। অপমানে ও লজ্জায় মর্মাহত প্রভাষকদ্বয় হতবাক হয়ে পড়েন।

 বিষয়টি তারা তাৎক্ষণিক ভাবে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে অবহিত করেন। ঘটনাস্থানে গেলে লাঞ্চিত নূর মোহাম্মদ, মোবারক আলি সরদার, আঃ সালামসহ এলাকার বহু ব্যক্তি জানান, ভুট্টো মারামারি ও নাশকতা মামলার আসামী এবং মাদাসার ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়মের হোতা সহ-সভাপতি ওসমান গনির হাতিয়ার।

 ওসমান গনি মাদ্রাসায় গিয়ে সব সময় শিক্ষকদের উপর খড়গ হস্ত তুলে অসম্মান ও লাঞ্চনা করে থাকেন। সরকারি নিয়মনীতিকে তুয়াক্কা না করে ক্ষমতার অপব্যাবহার করে থাকেন। মাদরাসার একটি কক্ষকে দখল করে সেখানে রাজকীয় কায়দায় অফিস বসিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের উপর অনাচার-দুরাচার করে থাকেন।

 মাদ্রাসার ২৬ জন শিক্ষকের মধ্যে ২০ জন একত্রিত হয়ে তার দুঃশাসন ও অসম্মানের হাত থেকে রক্ষা পেতে চেষ্টা চালালে তার রোষানলে পড়েন তারা। গত ৬ জানুয়ারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাদরাসায় গমন করে তদন্ত করেছেন। এখনো কোন রিপোর্ট করেননি।

ফলে ভুট্টো ও সহ-সভাপতি তাদের দৌরাত্ম বাড়িয়ে চলেছেন। এব্যাপারে তারা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে মাদরাসার সভাপতি এড. জহুরুল হকের সাথে মোবাইলে কথা বলেলে তিনি জানান, ঘটনাটি আমাকে জানান হয়েছে, পরবর্তী মিটিং এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

 উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. বাকী বিল্লাহ জানান, কোন নোটিশ করে তদন্ত করা হয়নি। ক্লাস বর্জনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে জানাজানি করে ক্লাশ বর্জন না করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি।

মাদ্রাসাটির বিরুদ্ধে অশুভ চক্রান্তের অভিযোগ আছে, বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করা হবে। মাদরাসার প্রিন্সিপ্যাল সোহরাব হোসেন বলেন, তারা স্বচ্চতার সাথে মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন। কতিপয় শিক্ষক ব্যক্তিস্বার্থে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। ভুট্টোর সাথে শিক্ষকদের ঘটনা তাদের ব্যক্তিগত। এর সাথে প্রতিষ্ঠানের কোন সম্পর্ক নেই।

 
এবিএন/জি এম মুজিবুর রহমান/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ