আজকের শিরোনাম :

গলাচিপায় ভুল চিকিৎসায় ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:২৬

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা সরকারী সাস্থ্য কমপ্লেক্স এর এক ডাক্তারের ভূল চিকিৎসা মৃত্যু শয্যায় মৃত. আব্দুল কাদের মোল্লার ছেলে নূরসালাম মোল্লা।

ঘটনা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, রোগী নূরসালাম মোল্লা  সামান্য জ্বর হওয়ায় নিজ উপজেলার সরকারী হাসপাতালে গেলে, নিজের ডাক্তারি পরিচয় প্যাডে  অস্পষ্ট ইংরেজীতে সরকারী  নিবন্ধন বিহিন ব্যক্তিগত চেম্বারে একই সহরে বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষার জন্য হিমু  প্যাথলজিষ্টে পাঠান। সেখান থেকে প্যাথলজিষ্ট মো. হেমায়েত উদ্দিন হিমু রোগীর মরণব্যাধী যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে রিপোর্ট দেয়। সে রিপোর্ট অনুযায়ী ডাঃ সালাউদ্দন মাহমুদ রোগীকে মরণব্যাধী  যক্ষা রোগের দীর্ঘ দিনের ঔষদের ব্যবস্থা পত্র দেয়।

 ডাক্তারি নির্দেশ অনুযায়ী রোগী নিয়মিত ঔষধ খাওয়ায় আরো বেশী অসুস্থ্য হয়ে পরলে, রোগীর পরিবার পুনরায় আবার সরকারী হাসপাতালে গেলে রোগীকে ভালো মন্দ না দেখেই বে আইনি থাকলেও  ৩০০(তিনশত) টাকা ভিজিট রেখে পাঠিয়ে দেয়। তাতেও রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হলে আবার ডাঃ সালাউদ্দিন মাহমুদের কাছে গেলে রোগীকে গাল মন্দ করে তারিয়ে দেয়।

এক পর্যায় অসহায় হতদরিদ্র পরিবার রোগীর যক্ষা হয়েছে কিনা সঠিক জানতে পটুয়াখালী সদর সরকারী বক্ষব্যাধি হাসপতালের কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ রেজউর রহমানের শরানাপ্য হলে, তিনি বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষা করে রিপোর্টের মাধ্যমে  জানিয়ে দেন, রোগী নূরসালাম মোল্লার কোন যক্ষা হয়নি।

যার কারণে এতদিন ডাক্তার ও অবৈধ প্যাথলজিষ্টের ভূল চিকিৎসায় রোগী আজ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরছেন বলে ভিকটিম পরিবার অভিযোগ করেন বলে প্রতিবেদককে জানা এবং অসহায় পরিবারের দূর্বলতার সুযোগে  অন্যায়ের প্রতিবাদে ও ন্যায় বিচারের জন্য গলাচিপা জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদলতে দুই জনের বিরুদ্ধে   মামলা করেন, যার নং ৮৫/১৯ ।এ বিষয়ে আসামী ডাঃ সালাউদ্দিন মাহমুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।

অন্যদিকে গলাচিপা উপজেলা সাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আসলে যক্ষা রোগীর কফ্ পরিক্ষা করলেও যক্ষা ধরা পরেনা, তবে, অনুমান করে যক্ষা রোগের ঔষধ দেয়া যায়, তা ছারা (২) দুই মাস পরেতো যক্ষা রোগীকে চেক বা টেষ্ট করলেত পজেটিভ'ই আসবে বলে ডাঃ সালাউদ্দিন মাহমুদের সাফাই দেন।

ডাক্তারের ভূল চিকিৎসায় আর যাতে কোন অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবার প্রিয়জনকে না হারাতে হয়, আদালত তা ন্যায় বিচার করবে এটাই বর্রমান প্রজন্ম ও মুরাদ নগর গ্রামবাসীর সরকারের কাছে দাবী।
 

এবিএন/জিল্লুর রহমান জুয়েল/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ