আজকের শিরোনাম :

সারাইগাছীতে পুলিশ স্টেশন স্থাপনের দাবি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৫৬

নওগাঁর পোরশা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র সারাইগাছী বাজারে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। 

সারাইগাছী বাজার পোরশা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র। স্থানটি বৃহৎ চার মাথার বাজার এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। অথচ এখানে স্থাপন করা হয়নি পুলিশ স্টেশন বা পুলিশ ফাঁড়ি। বাজারটি উপজেলার মিডিল পয়েন্টে বা উপজেলার মধ্যস্থানে অবস্থিত। 

পোরশা উপজেলার জন্মলগ্ন থেকে পোরশা বাজার থাকলেও যে পরিমাণ পোরশা বাজার বর্ধিত হয়নি সে হিসাবে অনেক পরের জন্ম সারাইগাছী বাজার ব্যাপক বর্ধিত হয়েই চলেছে। 

বর্তমান এ বাজারটি পোরশা বাজারকেও ছাড়িয়ে গেছে। তা ছাড়া পোরশা বাজারের পরবর্তীতে নিতপুর, গাঙ্গুরিয়াসহ উপজেলার বেশকয়েকটি মোড় বা বাজারের জন্ম হলেও সারাইগাছী বাজারের মতো এতো দ্রুত এগিয়ে যায়নি অন্য কোন মোড় বা বাজার। 

সারাইগাছী বাজার উপজেলা পরিষদ চত্তর নিতপুর থেকে ১০ কি. মি. পূর্বে অবস্থিত। অনেকে চার মাথার বাজার, কেউবা আবার চৌমুহনী বাজার বলেও ডাকেন বা চেনেন সারাইগাছী বাজারকে। কারণ এ বাজার থেকে ৪টি রাস্তা ৪ দিকে গেছে। উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম দিকে গেছে ৪টি রাস্তা।

সারাইগাছী থেকে যে রাস্তাটি উত্তর দিকে গেছে সেটি পাশর্^বর্তী উপজেলা সাপাহারে, দক্ষিণের রাস্তাটি গেছে পাশর্^বর্তী উপজেলা নিয়ামতপুর হয়ে গোমস্তাপুর-নাচোল হয়ে বিভাগীয় শহর রাজশাহী, পূর্ব দিকে যে রাস্তাটি গেছে সেটি মহাদেবপুর হয়ে জেলা শহর নওগাঁ এবং অপর পশ্চিমে যাওয়া রাস্তাটি পোরশা উপজেলা পরিষদ চত্তর নিতপুরে গেছে। 

সারাইগাছী বাজার থেকে প্রত্যেক ঐ রাস্তায় ১০ কি. মি. গেলেই পোরশা উপজেলার শেষ প্রান্ত। কারণ সারাইগাছী থেকে উত্তরে গেলে উপজেলার এরিয়া ১০কি. মি., দক্ষিণে গেলেও ১০কি. মি., পূর্বে গেলেও ১০কি. মি. এবং পশ্চিমে গেলেও এরিয়া হবে ১০কি. মি.। আর তাই সারাইগাছী বাজারকে এ উপজেলার প্রাণকেন্দ্র এবং মধ্যস্থান বলা হয়। 

এ মোড়ে রয়েছে শহীদদের বিজয় স্তম্ভ, গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পের বিশাল স্থাপনা, রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিস, ডাচ বাংলা ও ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখা, অর্ধ শতাধীক এনজিও অফিস, ব্যক্তি মালিকানাধীন ক্লিনিক হাসপাতাল, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহিলা ফাজিল মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি কওমি ও মহিলা মাদ্রাসা। রয়েছে ৩টি মসজিদ, রয়েছে ২টি সিনেমা হল, খাদ্য গুদাম ও কয়েক হাজার ব্যবসা কেন্দ্রসহ অসংখ্য বসতবাড়ী।

পোরশা থানা কমপ্লেক্সটি বর্তমানে উপজেলা পরিষদ এলাকা নিতপুরে থাকায়, আর নিতপুর থেকে পোরশা উপজেলার ৩টি পয়েন্টের দুরত্ব ২০কি. মি. হওয়ায় থানা পুলিশ অনেক সময়ে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সেবা দিতে পারেন না। আবার উপজেলার শেষ প্রান্তের গ্রামের সাধারণ বসবাসকারী মানুষরা প্রয়োজন হলেও থানা অনেক দূরে হওয়ায় তারাও থানায় আসেন না। বড় কোন ঘটনা ঘটলে ২০কি. মি. রাস্তায় যেতে অনেক সময় লেগে যাওয়ায় চাহিদামত সেবা দিতে পারেন না পুলিশ। 

বর্তমান নিতপুর থানা কমপ্লেক্স থেকে রাতে ডিউটি করতেও হিমশিম খাচ্ছেন পুলিশ। প্রতি রাতে ২০কি. মি. রাস্তা গেলে একটি রাস্তা ডিউটি দেওয়া হবে। এ রকম মোট ৩টি রাস্তা রয়েছে। যেগুলোতে প্রতি রাতে ডিউটি করতে হয় বলে জানান থানা পুলিশ।

আর সারাইগাছী মোড়ে পুলিশ ফাঁড়ি বা পুলিশ স্টেশন স্থাপন হলে মাত্র ১০কি. মি. হবে উপজেলার সকল রাস্তা।  সহযেই পুলিশ রাতে ১০কি. মি. করে মোট ৩টি রাস্তা ডিউটি বা পাহারা দিতে পাবেন। তাই সারাইগাছী বাজারে একটি পুলিশ ফাঁড়ি বা পুলিশ স্টেশন স্থাপন হলে উপজেলার সকল মানুষ উপকৃত হবেন।

এ ব্যাপারে পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, আমরা মানুষকে সেবা দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করি। তবে অনেক সময় রাস্তার দুরুত্ব অনেক হওয়ায় আমরা মানুষকে কাঙ্খিত সেবা দিতে পারি না। উপজেলার মিডিল পয়েন্ট সারাইগাছী বাজারে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন হলে উপজেলার সকল মানুষ সহজে এবং অল্প সময়ে কাঙ্খিত সেবা পাবেন। 

এ ব্যাপারে তিনি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। 

এবিএন/ডিএম রাশেদ/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ