আজকের শিরোনাম :

ফরিদপুরে নিহত সৈনিক আরজানের গ্রামে শোকের মাতম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ মে ২০১৮, ১৬:৫৫

ফরিদপুর, ২৮ মে, এবিনিউজ : ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার চরব্রাক্ষণদি গ্রামের দরিদ্র পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি আরজান হাওলাদার। গত ২৭মে দক্ষিণ আফ্রিকায় জাতি সংঘের শান্তি মিশনে কর্মরত থাকা অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। তার গ্রামের বাড়ী চলছে শোকের মাতম।

৬ মাস আগে জাতি সংঘের শান্তি মিশনে জান আরজান। তিনি ৩৪ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সৈনিক পদে চাকরি করতেন। পরিবারের দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সে ছিলো সকলের বড়। বাবা করিম হাওলাদারের মৃত্যুর পর মা রহিমা খাতুন দরিদ্র পরিবারকে নিয়ে চলে যান বাবার বাড়ীতে। সে পরিবারের বড় হন আরজান। লেখা-পড়া শেষে সেনাবাহিনীতে চাকরি নিয়ে পরিবারের হাল ধরেন তিনি ।

২৬ মে তার স্ত্রী চায়না আক্তারের সাথে শেষ কথায় মোবাইলে ভিডিও কলে। সে তখন জানিয়েছিলো, আমি এখন গাড়ীতে ক্যাম্পে যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে কথা হবে। এর পরে তার সাথে আর কথা হয়নি। আরজান ও চায়না দম্পতির একমাত্র সন্তার পাচ বছরের ফাহিম আহমেদ। এখনো স্কুলে ভর্তি হয়নি ।

আরজানের স্ত্রী চায়না আক্তার দ্রুত শাল দেশে আনার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানন। তিনি বলেন, আমার সন্তান ও এই পরিবারের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন শেষ হয়ে গেছে। এখন আমরা কিভাবে বেঁচে থাকব। আমরা যাতে বেঁচে থাকতে পারি তার সু-ব্যবস্থা করার দাবী জানান তিনি।

স্বজনদের দাবী দ্রুত আরজানের লাশ দেশে আনার ব্যবস্থা করা। আর অসহায় পরিবারটির বেঁচে থাকার সু-ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

আরজানের মৃত্যু খরব ২৭ মে পরিবারের কাছে এলে স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠে এলাকার পরিবেশ। একমাত্র উপাজনক্ষম স্বজনকে হারিয়ে দিশেহারা সকলেই। তাদের দাবি দ্রুত আরজানরে মরদহে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের, এবং হতভাগ্য পরিবারটির সুষ্ঠ ভাবে বেচে থাকার নিশ্চয়তা দেওয়ার ।


এবিএন/কে. এম. রুবেল/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ