আজকের শিরোনাম :

ধর্মপাশায় ৮দিন ধরে অনুপস্থিত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:১৪

কর্তৃপক্ষকে কোন কিছুই না জানিয়ে ৮দিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ উঠেছে ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দয়াল পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাছুমা আক্তার শাহীনের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানিয়েছে,বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার কারনে ইতিপুর্বেও ওই শিক্ষককে কয়েকবার বেতন আটকানো ও পানিশমেন্ট দেওয়া হয়েছে।  

গতকাল রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক সহ মোট ৫জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন তন্মধ্যে ১ জন শিক্ষক মাছুমা আক্তার শাহীন বিদ্যালয়টিতে গত ১৯জানুয়ারী থেকে ২৭ জানুয়ারী পর্যন্ত মোট ৮দিন ধরে অনুপস্থিত থাকায় শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

পাশাপাশি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান কার্যক্রম সহ বিভিন্ন কাজে বিঘœতা ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয় স্ক্যাচমেন্ট এরিয়ার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন। বিষয়টি বিদ্যালয়ের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমানকে মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিদ্যালয়ের ছাত্র অভিভাবক আব্দুল রহিম জানায়, সহকারী শিক্ষক মাছুমা আক্তার শাহীন ৮ দিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ফলে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে।

কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয়ে কেন অনুপস্থিত এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক মাছুমা আক্তার শাহীন বলেন,আমার শাশুড়ি অসুস্থতার কারণে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারিনি।
পাশাপাশি ছুটির আবেদনও করতে পারিনি।

দয়াল পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল মিয়া জানান,বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাছুমা আক্তার শাহীন দিনের পর দিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বলেন- চলতি মাসের গত ১৯জানুয়ারী থেকে ২৭ জানুয়ারী পর্যন্ত ৮দিন ছুটির জন্য কোনো আবেদন না করেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন ওই শিক্ষিকিা। অদ্যাবধি পর্যন্ত সে বিদ্যালয়ে আসে নাই এ বিষয়টি সত্য ফলে বিদ্যালয়ে সার্বিক কার্যক্রম চালাতে আমার পক্ষে খুবই সমস্যা হচ্ছে।

ধর্মপাশা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল আউয়াল মিয়া জানান- অনুপস্থিতির বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন,তদন্ত সাপেক্ষে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

এবিএন/ইমাম হোসেন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ