চুয়াডাঙ্গায় ১৪ নেতাকর্মীর নামে মামলা

চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়া এলাকায় ছাত্রলীগকর্মী মিরাজ ও বশিরকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে ছাত্রলীগকর্মী মিরাজের মা পান্না বেগম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এ মামলা করেন।  মামলা নং-৪৪।

মামলায় আসামি করা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাফিজুর রহমান, সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ সামী তাপুসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৪ জন নেতাকর্মীকে। এ ছাড়া মামলায় আরো তিন-চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলায় বাদী পান্না বেগম অভিযোগ করেছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় তার ছেলে আল মিরাজ ও বন্ধু বশির দৌলতদিয়াড় এলাকার দক্ষিণপাড়ার জহুরুলের চায়ের দোকানে বসে গল্প করছিল। এ সময় পূর্ব বিরোধের জেরে আসামিরা তার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশে ধারাল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে।

উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করা হয় মিরাজ ও বশিরকে। নিশ্চিত হত্যার উদ্দেশ্যে মিরাজের পায়ের রগও কেটে দেওয়া হয়। মামলার এজাহারে আসামিদের স্থানীয় সন্ত্রাসী বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আবদুল খালেক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার সকালে বাদীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

তিনি আরো জানান, যেহেতু ছাত্রলীগের অন্তর্কোন্দলে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে, তাই সূক্ষ তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সদর থানার উপ-পরিদর্শক ভবতোষ ঘোষকে।

প্রসঙ্গত, নিজেদের অন্তর্কোন্দলে ছাত্রলীগের এক পক্ষের হামলায় গুরুতর জখম হয় অন্য পক্ষের মিরাজ ও বশির নামে দুই কর্মী। শুক্রবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়াড় এলাকার দক্ষিণপাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতে মিরাজ ও বশিরের শরীরের বিভিন্ন স্থান গুরুতর জখম হয়। এর মধ্যে মিরাজের বাম পায়ের রগও কেটে দেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় রাতেই মিরাজকে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় রেফার্ড করে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এবিএন/সনজিত কর্মকার/জসিম/রাজ্জাক