আজকের শিরোনাম :

‘হাওরের প্রকল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৩৭

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, হাওরের প্রকল্পেরে ব্যাপারে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী খুব আন্তরিক। 

তিনি হাওরের মানুষের সব সময় খোজ খবর নেন। হাওরের ধান লাগানো হয়েছে কিনা। সারের কোনও অভাবন আছে কিনা। সকল ব্যাপারে শেখ হাসিনা নিজে খোঁজ খবর নেন। 

তিনি আমাকে সব সময় বলেন হাওরের কোন প্রকল্প আছে কিনা। থাকলে বলেন। আমি তখন তাকে বলে ছিলাম আমাদের একটি মেডিকেল কলেজ প্রয়োজন। 

অনেকেই এই প্রকল্পের বিরোধীতা করলেও তিনি তা অল্প সময়ের মধ্যে পাশ করে দেন। 

বুধবার (২৩ জানুয়ারী) জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে সুনামগঞ্জ যুবলীগ কতৃক আয়োজিত গণ সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এ সব কথা বলেন তিনি। 

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধান মন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমাদের সুনামগঞ্জে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হবে। তিনি সেটি আমাদেরকে করে দিবেন। 

প্রধানমন্ত্রী দেশের সাধারণ মানুষের উন্নতি চান। সব সময় দেশের মানুষের কল্যাণ চান। হাওরের মানুষের কষ্ট তিনি বুঝেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সকল মুক্তির জন্য স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। 

স্বাধীনতা শুধু দেশ স্বাধীন নয় অর্থনৈতিক মুক্তি সহ সব ধরণের স্বাধীনতার জন্য এ দেশ পকিস্তানিদের হাত থেকে মুক্ত করেন। কিন্তু ঘাতকরা ৭৫ সালে বঙ্গবুন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে সে পথ বন্ধ করে দেয়। 

পরে আবার যখন ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে সে অগ্রযাত্রা আবার শুরু হয়। 

পরে আবার ২০০১ সালে ষড়যন্ত্র করে আওয়মীলীগকে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়। 

এম এ মান্নান বলেন, আমি যখন ডিসি ছিলাম তখন জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা তখন আমি তাকে বলে ছিলাম আমি আপনার সাথে কাজ করতে চাই। 

তখন তিনি বলে ছিলেন আপনি এই চাকরি ছেড়ে দিবেন কেন। আমি তো আপনাকে বেতন দিতে পারব না। তখন আমি বলে ছিলাম আমি বিনা বেতনে চাকরি করব। আসাকে সাফ নিষেধ করা হয় চাকরি ছাড়তে। 

আমরা সামরিক সরকারের চাপে আছি। আপনি চাকরি করেন। পরে যখন চাকরি শেষ হয়। ঐ সময়ে মারা যান আব্দুস সামাদ আজাদ। পরে সেখানে উপ-নির্বাচন হয় আমি নির্বাচন করতে চাইলে নেত্রী আমাকে বলেন। আমরা তো নির্বাচনে যাবও না। আপনি স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করতে পারেন। 

পরে আমি সেই নির্বাচনে হেরে যাই। পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও বলেন, আমি ২০০৫ সালের ২২ মে জুলাই আওয়ামীলীগে যোগ দান করি। পরে ২০০৮ নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে জয়ী হই। 

প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন পরিশ্রম করতে হবে সততার মধ্য দিয়ে। জনগণ আমাদরেকে নজরে রেখেছে। আর তাই গত নির্বাচনে আমরা ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠাতা পেয়েছি।এ ছাড়াও সংবর্ধনা প্রদান করা হয় সুনামগঞ্জ -৪ আসনের সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিছবাকে। 

জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপলের সভাপতিত্বে এ সময় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক স¤পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেলাল হোসাইন, সাংগঠনিক স¤পাদক ফজলুল হক আতিক, ঢাকাস্থ সুনামগঞ্জ সমিতির সভাপতি আকবর হোসেন মঞ্জু প্রমুখ। 

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সহ-সভাপতি সজীব রঞ্জন দাস, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নূরুল ইসলাম বজলু, রনজিৎ চৌধুরী রাজন সহ যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু ও খন্দকার মঞ্জুর আহমদ।

এবিএন/অরুন চক্রবর্তী/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ