আজকের শিরোনাম :

সোনাগাজীতে মসজিদে তবলিগ জামাতের ওপর হামলা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:১০ | আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:২০

সোনাগাজী উপজেলার চরছান্দিয়া ইউপির ওলামাবাজার সংলগ্ন ফকির বাড়ীর বাড়ীর শেখ নাদেরুজ্জামান জামে মসজিদে প্রবেশ করে সোমবার সন্ধ্যায় তবলিগ জামাতের মুসল্লিদের উপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয় দারুল উলুম আল হোসাইনিয়া মাদ্রাসার একদল শিক্ষার্থী।

তাদের হামলায় মসজিদের ভিতরে অবস্থানরত তবলিগ জামাতের ছয় মুসল্লি আহত হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে তবলিগ জামাতের দু গ্রুপের বিরোধের জেরে হামলার ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, সোমবার মাগরিবের নামাজের পূর্বে ওলামাবাজার মাদ্রাসার প্রায় দ্ইু শতাধিক ছাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছে মসজিদে প্রবেশ করে তবলিগ জামাতের মুসল্লিদের উপর হামলা চালায়।

তাদের এলোাপাথারি পিটুনিতে ছয় জন মুসল্লি আহত হয়। 

হামলায় আহত ও অন্য মসুল্লিদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা ওলামাবাজার মাদ্রাসার বড় হুজুরের নির্দেশের কথা জানান।

খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলন ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে এলাকাবাসী হামলাকারীদের ধাওয়া দিলে তারা মসজিদের অদূরে অবস্থান নেয়।

চেয়ারম্যান মিলন বলেন, আমি মাদ্রাসার বড় হুজুর মাওলানা আদিব সাহেবকে ফোন করলে তিনি হামলার বিষয়ে অবগত নন বলে আমাকে জানান।

তিনি আরো বলেন, মসজিদের ভিতরে শত্রু শত্রুকেও মারধর করেনা কিন্তু মাদ্রাসার ছাত্ররা নিরীহ মুল্লিদের উপর যেভাবে হামলা করেছে তাহা অত্যান্ত ন্যাক্কারজনক।

মসজিদে অবস্থাররত তবলিগ জামাতের আমির রফিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার সকালে ও দুপুরে তারা দু দফা এসে হামলার চেষ্টা করে।

মাগরিবের নামাজের পূর্বে পুনরায় ওলামাবাজার মাদ্রাসার দুই শতাধিক ছাত্র আচমকা মসজিদে ডুকে সবাইকে পিটাতে থাকে এবং মালামাল তছনছ করে।

এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তারা সরে যাওয়ার সময় মুসল্লিদের দুটি মোবাইল সেট, রান্না করার সামগ্রী, গ্যাসের চুলা নিয়ে সটকে পড়ে। 

তাদের হামলায় তবলিগ জামাতের মুসল্লি আকবর হোসেন, মুজাইাহদ হোসেন, মাবুল হক, নুরনবী, আব্দুল আজিজ, আবুল খায়ের আহত হয়।

এর আগেও চরছান্দিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি মসজিদে তবলিগ জামাতের লোকদের উপর তারা হামলা চালিয়েছিলো।

খবর পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ এসে মাদ্রাসা ছাত্রদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মডেল থানার ওসি মো: মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ওলামাবাজার মাদ্রাসার বড় হুজুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি হামলার বিষয়ে কোন কিছু জানেন না বলে আমাকে জানায়।

পুনরায় যেন এরকম ঘটনার পুনরাভিত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে পুলিশ সতর্ক থাকবে।

এবিএন/আবুল হোসেন রিপন/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ