আজকের শিরোনাম :

লালমনিরহাটে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:৩১

মাঘের কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট জেলার জনজীবন। 

বিশেষ করে তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান নদীর চরসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের অবস্থা চরম শোচনীয়। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। 

জেলায় দুপুরের পর সূর্য দেখা যাচ্ছে খুব অল্প সময়ের জন্য। কুয়াশার পাশাপাশি তীব্র শৈত্য প্রবাহ হচ্ছে। 

জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে তিস্তা নদীর চর অঞ্চল গুলোতে হাজার হাজার ছিন্নমূল মানুষ সরকারী শীতবস্ত্ররের জন্য পথ চেয়ে বসে আছে। তাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ জরুরী হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি শিশুদের মাঝে শীত জনিত রোগ দেখা দিয়েছে ।

লালমনিরহাটে গত রোববার রাত থেকে শীতের দাপটে বিপর্যস্ত জীবন যাত্রা। 

এ জেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার কয়েক হাজার শীতাত অসহায় গরিব মানুষ মাঘের হাড় কাঁপানো কনকনে শীতের কারণে ঘর থেকে বের হতে না পারায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে। 

জেলার বিভিন্ন বাজার গুলোয় তেমন দোকান-পাট সন্ধ্যার পর পরেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। লোকজনের চলাচলও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম। হাট-বাজারের পুরাতন কাপড়ের দোকান গুলোতে নিন্ম আয়ের লোকজনের ভীর দেখা যাচ্ছে। পেটের টানে কিছু শ্রমিক ঘর থেকে বেরিয়েছেন। 

শীতের পোশাক না থাকায় নিম্ন আয়ের অনেকেই পড়েছেন বিপাকে। জেলায় সরকারি ভাবে কিছু কিছু এলাকায় শীতার্তদের মাঝে গরম কাপড় বিতরণ করলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। 

হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা পাড়ের দিনমজুর সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চরে আমরা ভীষণ কষ্টে আছি। কেউ আমাদের একটা কম্বল দিচ্ছে না। আমরা কয়েক হাজার মানুষ কঠিন শীতের মধ্যে আছি।’

লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. মতিয়ার রহমান বলেন, অনেক শীতার্ত মানুষ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশের বিত্তবান লোকজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ বলেন, সরকারি ভাবে যে পরিমাণ শীতবস্ত্র পাওয়া গেছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সীমিত। 

আমরা বিভিন্ন ব্যাংক, বীমা ও সামাজিক সংগঠনের কর্ণধারদের সহযোগিতা কামনা করছি। 

অনেকেই শীতের কাপড় দিচ্ছেন। তবে আরও বেশি শীতের কাপড় দরকার বলে তিনি জানান।

এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ