আজকের শিরোনাম :

ফরিদপুরে আলুর বাম্পার ফলন আশা করছে কৃষকরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:৪২

ফরিদপুরে চলতি মৌসুমে উন্নত জাতের ডায়মন্ট আলুসহ বিভিন্ন জাতের আলুর আবাদ হয়েছে। কৃষকেরা আলুর বাম্পার ফলন আশা করছেন। 

সরকারি সহযোগিতা পেলে আগামীতে আরও বেশী জমিতে আলু চাষ করবে এই অঞ্চলের কৃষকেরা। আর কৃষি বিভাগ বলছে, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে কৃষকদের সব ধরনের সহযাগিতা করা হচ্ছে।

ফরিদপুরে দিন দিন কৃষিতে বৈচিত্র ফুটে উঠেছে। এ জেলায় সব ধরনের কৃষি পন্য উৎপাদন হচ্ছে। 

এ জেলায় উৎপাদন হয়ে থাকে অর্থকারী ফসল পাট, ধান, গম, মশলা জাতীয় ফসল পেঁয়াজ, পেঁয়াজ বীজ, রসুনসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি। 

এর পাশাপাশি এ জেলায় নতুন করে শুরু হয়েছে উন্নত জাতের ডায়মন্টসহ বিভিন্ন জাতের আলুর চাষ। কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন আলুক্ষেত পরিচর্যায়। 

চলতি বছর জেলার সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া, মধুখালী ও বোয়ালমারী উপজেলায় উন্নত জাতের আলু ও ডায়মন্ট আলুর চাষ হয়েছে। 

কৃষকেরা জানায় এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। আর একবিঘা জমির উৎপাদিত আলু ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করা সম্ভব। 

কৃষক বক্তার খান বলেন, গত বছর আলুর ভাল দাম পেয়েছি। আর সে কারনে এবারও আলু লাগিয়েছি। আশা করছি ফলন ও দাম ভাল পাব। তবে সার ও ষুধের দাম কম হলে আমরা আরও লাভবান হতে পারব।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায় চলতি বছর প্রায় প্রায় ৪০০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে।
সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আবুল বাসার মিয়া বলেন, ফরিদপুর অঞ্চলে দিন দিন আলুর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

আলু একটি উচ্চ মূল্যের ফসল। সারা বছর আলুর চাহিদা থাকায় এই অঞ্চলের কৃষকের এখন গুরুত্ব সহকারে আলুর চাষ করছে এবং লাভবান হচ্ছে। আলু বীজ বপনের ৯০দিনের মধ্যে ঘরে তুলাযায়। আলু চাষে কৃষকদের সবধরণের সহযোগিতা করা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুরের উপ-পরিচালকর কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী, ফসলের বৈচিত্রের দিক দিয়ে ১৭ থেকে ১৮টি ফসল এই রবি মৌসুমে আবাদ হয়ে থাকে। তবে ২৫০ হেক্টরের লক্ষমাত্রা থাকলেও এ বছর আবাদ হয়েছে ৩৪০হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। 

আলুর ফলন ও ভাল হবে। এই অঞ্চলে দিন দিন আলুর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আলু চাষীদের আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করে থাকি।

এবিএন/কে. এম. রুবেল/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ