চলনবিলে খেজুরের গুড় তৈরীতে ব্যস্ত গাছিরা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:১২
ঐতিহাসিক চলনবিল এলাকার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খেৎুর গুড় তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। প্রতিবছরের ন্যায় এবারো শীত মৌসূমে এই সুস্বাদু খেজুরগুড় তৈরি হচ্ছে এবং সেইসাথে চাহিদাও বাড়ছে। শীত মৌসূমে এ অঞ্চলে এই খেজুর গুড় জামাই পিঠা গুড় হিসেবে পরিচিত। এ সুস্বাদু গুড় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হচ্ছে।
প্রবীণরা জানান, উক্ত উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা ও পুকুর ধারে রয়েছে শত শত খেজুরগাছ। মৌসুমী শীত শুরু আগেই রাজশাহী ও চাপাই নবাবগঞ্জ অঞ্চলের গাছিরা তাড়াশ অঞ্চলে আসেন এবং খেজুরগাছ লিজ নেন মালিকদের কাছ থেকে। শীতের প্রায় ২ সপ্তাহ আগেই গাছিরা খেজুরগাছ পরিচর্যা করে থাকেন। শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে খেজুর গাছে মাটির হাঁড়ি দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে গাছিরা রস সংগ্রহ করেন। কুয়াশা ঘেরা ভোর রাতে গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে কড়াইয়ে জাল দিয়ে তৈরি করেন গুড়।
এ বিষয়ে রাজশাহীর গাছি খায়রুলসহ অনেকেই বলেন, ৫/৭ জনের একটি গ্রুপ রাজশাহী ও চাপাই থেকে এসে স্থানীয়দের কাছ থেকে তিন শতাধিক গাছ লিজ নিয়েছি। এসব গাছ থেকে পাওয়া রস দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে তিন মণ গুড় তৈরি করা হয়। প্রতি কেজি গুড় ৬০ থেকে ৭০ টাকায় পাইকারী হারে বিক্রি হয়ে থাকে।
তারা আরো বলেন, চলনবিল এলাকার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ও রায়গঞ্জের অধিকাংশ এলাকা লাভজনক এই খেজুরগাছ চাষের জন্য উপযোগী। এসব অঞ্চলে সরকারিভাবে বেশি করে খেজুরগাছ লাগানো হলে আরো বেশি গুড় উৎপাদন সম্ভব হবে এবং বেকারত্ব সমস্যা দূর হবে।
এ খেজুর গুড়ের পাশাপাশি রস দিয়ে জামাই পিঠা-পায়েস তৈরি করলে খুবই সুস্বাদু লাগে। এ ছাড়াও সকালে শহর গ্রামঞ্চলে গ্লাশ মেপে খেজুর রস বিক্রি হয়ে থাকে এবং খেতে খুবই মজা।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে আখের চাষ কমে যাওয়ায় খেজুর গুড়ের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এ জন্য স্থানীয় কৃষকদের এই লাভজনক খেজুরগাছ লাগানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে এবং সেইসাথে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে রাস্তার ধারে ও সরকারি খাসজমিতে খেজুরগাছ রোপণ করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এবিএন/এস.এম তফিজ উদ্দিন/জসিম/তোহা
এবিএন/এস.এম তফিজ উদ্দিন/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ