আজকের শিরোনাম :

ময়মনসিংহে সিজার করতে গিয়ে নবজাতককে মেরে ফেলার অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৪৯

সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের পিঠ,মুখ,হাত কেটে ফেলেছে ডাক্তার। ময়মনসিংহের একটি প্রাইভেট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতককে মেরে ফেলার অভিযোগ করেছে প্রসূতির পরিবার। গতকাল রবিবার (২০ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর কেওয়াটখালি পরশ প্রাইভেট ক্লিনিকে এই ঘটনা ঘটে।

রবিবার ২০ জানুয়ারি প্রসব ব্যাথা নিয়ে পরশ ক্লিনিকে ভর্তি হয় সদর কুষ্টিয়া এলাকার হারুনের স্ত্রী জান্নাত। রাত ১ টার পরে সিজার করতে হবে বলে ওটিতে নিয়ে যায় জান্নাতকে। ওটিতে সিজার করতে আসেন ময়মনসিংহ সিবিএমসি হাসপাতাল থেকে পাশ করা ডাক্তার শিশির। তিনি বর্তমানে প্রাইভেটে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

সিজার শেষে নবজাতকের মরদেহ স্বজনদের হাতে দিয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বলেন বাচ্চা গর্ভেই দুদিন আগে মারা গিয়েছিল। নিয়ে যান দ্রুত কবর দিয়ে ফেলেন। পরে অভিভাবকরা নবজাতকের শরীরে বিভিন্ন স্থানে কাটা ও পিঠের পুরো চামড়া কাটা দেখে বুঝতে পারেন এ কারনেই তাদের সন্তান মারা গেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মৃত নবজাতকের স্বজনরা।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুরুল আলম জানান, পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাইভেট হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরশ প্রাইভেট হাসপাতালের পরিচালক রেজাউল কবির মুরাদ বলেন, ‘প্রচণ্ড প্রসব ব্যথা নিয়ে জান্নাতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’ পেটের ভেতর ২/১ দিন আগেই বাচ্চা মারা যাওয়ার কথা দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘সিজারের মাধ্যমে চিকিৎসক মৃত বাচ্চা বের করে আনেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও অবহেলা নেই এখানে।’

ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা. একেএম আব্দুর রউফ জানান, পরশ প্রাইভেট হাসপাতালের সরকারি কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও অবহেলা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান ।


এবিএন/মঈন উদ্দিন রায়হান/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ