আজকের শিরোনাম :

জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীতে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩৪

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কুশিয়ারা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। এতে উপজেলার  ঐতিহ্যবাহী রানীগঞ্জ বাজার সহ আশ-পাশের গ্রামগুলো হুমকির মূখে রয়েছে।

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে । ১০/১২ দিন ধরে  ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হলেও স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভুমিকা পালন করছেন বলে  অভিযোগ  করছেন এলাকার সচেতন মহল ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদী থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে  হাত করে একটি চক্র অবৈধভাবে দীর্ঘদিন বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এনিয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধি, সাধারন মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করলেও প্রশাসন কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করে নাই।

 স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বাগময়না গ্রামের আব্দুস সামাদ মাষ্টার, গন্ধর্বপুর গ্রামের চাঁন মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য ইসরাক আলীর নেতৃত্বে তাদের সহযোগিরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এদের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্টানকে হাত করে চলছে এই বালু কারবার।

সরেজমিনে দেখা যায়, কুশিয়ারা নদী থেকে প্রতিদিন নৌকা দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিতভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় রানীগঞ্জ ইউনিয়ন বাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ, তীব্র অসন্তোষ, উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।

 বাগময়না গ্রামের জাবরুল মিয়া জানান, সপ্তাহ ধরে কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

তিনি শুধু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তবে বালু উত্তোলনে সরকারি অনুমোদন আছে কি না তা তিনি জানেন না। রানীগঞ্জ ইউনিয়ন তহশিলদার নিখিল চন্দ্র পুরকায়স্থ জানান, বালু উত্তোলনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রতিবেদন প্রেরন করা হয়েছে।  

এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজুল আলম মাসুম জানান, কুশিয়ারা নদীতে রাতের আধারে কে বা কাহারা বালু উত্তোলন করছে এ বিষয়ে অবগত হয়েছি।  সু-নির্দিষ্ট অভিযোগ ফেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

এবিএন/রিয়াজ রহমান/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ